কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুর উপরে অতর্কিত হামলার অভিযোগে সোহেল হাওলাদার নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার(১০ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আটককৃত সোহেল হাওলাদার উপজেলার ফেরধরা গ্রামের আজিজ হাওলাদারের ছেলে।
জানাগেছে, জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটু তার নিজ রুমে রোগী দেখছিলেন। রোগীরা তার রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে হঠাৎ করে সোহেল হাওলাদার হাতে একটি এসএস পাইপ নিয়ে তার রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়।এরপরে সোহেল হাওলাদারের হাতে থাকা পাইপ দিয়ে ডা. অনুপম বাড়ৈকে বেধরক মারপিট করে।এ সময় চিকিৎসকের চিৎকারে হাসপাতালের কর্মচারী ও আগত রোগীদের স্বজনেরা রুমের দরজা ভেঙ্গে ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুকে উদ্ধার করে। সাথে সাথে সোহেল হাওলাদারকে আটক করে রাখে।
পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুমার মৃদুল দাস থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘনাস্থলে এসে সোহেল হাওলাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: অনুপম বাড়ৈ লিটু বলেন, আমি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আমার নিজ রুমে বসে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ একজন অপরিচিত লোক এসে রুমের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমার চিৎকারের শব্দ পেয়ে আমাদের স্টাফরা দরজা ভেঙ্গে আমাকে উদ্ধার করে। শুনেছি সোহেল হাওলাদার কয়েক দিন আগে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। আলট্রাসনো রিপোর্টে দেখা গেছে হাসপাতালে আনার ৪ দিন আগে তার বাচ্চা মারাগেছে।
সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী সাদিয়া খানম বলেন, আমি অসুস্থ অবস্থায় গত ২৯ মে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলাম। তখন সঠিক চিকিৎসার অভাবে আমার বাচ্চা মারা গেছে। এই কারণে আমার স্বামী সোহেল হাওলাদার ডাক্তারকে মারধর করতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কুমার মৃদুল দাস বলেন, গত কয়েক দিন আগে সোহেল হাওলাদার নাকি তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ছিলেন। তখন তিনি নাকি তার কাঙ্খিত সেবা পাননি। এই অভিযোগে আজ সকালে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপম বাড়ৈ লিটুকে তার রুমের দরজা বন্ধ করে মারপিট করেছে। এঘটনায় ডা. অনুপম বাড়ৈকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।বিষয়টি আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা সোহেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করবো।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: অনুপম বাড়ৈ লিটুকে মাধরের ঘটনায় সোহেল হালদার নামে এক যুবকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দারের প্রস্তুতি চলছে।

Discussion about this post