পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তের সরকার পাড়ায় নোম্যান্সল্যান্ডের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে।
এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ-সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপপিলার ৪১,৪৬ থেকে ৩৭ নম্বর পীলারের নিকট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে বিএসএফ ভারতীয় ৪০ থেকে ৫০ জন নির্মাণ শ্রমিককে নিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে ৫ ফুট উচু খুঁটির মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। নোম্যান্সল্যান্ডের দেড় শত গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপন করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়।
৫১ রংপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেয়।
কিছু সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে কয়েকশত বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লংঘন করে শূন্যরেখার পীলার ঘেঁষে দেড়শো গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে। নির্মান কাঁটা তারের বেড়া এখনও ওই অবস্থায় আছে। এছাড়াও সীমান্তে ল্যাম্প পোস্ট ও বসিয়েছে। এলাকাবাসী আলমগীর, মজিবর রহমান জানান ,বিএসএফ গত ১০ জানুয়ারি সীমান্তের জিরো লাইনে পিলার বরাবর কাঁটা তার দিয়ে বেড়া নির্মান করে ফেলছে।
সরেজমিনে ১১ জানুয়ারি শনিবার সীমান্তে গিয়ে দেখা গেছে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ টহল রত অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) আমীর খসরু বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু করে এ নিয়ে টান টান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে সীমান্ত শান্ত রয়েছে। কা্টা তারের বেড়া নির্মান করবে না মর্মে কথা হয়েছে। সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কথা হয়েছে। আমরা বেড়া সরায়ে নিতে বলেছি। উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post