প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজর পদত্যাগ করা অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
অধ্যক্ষ মান্নানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সরোয়ার হোসেন ও প্রভাষক রেজানুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজর যোগদানের পর থেকে অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন অনিয়মও দুর্নীতি করে আসছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকে তিনি কলেজের বিভিন্ন শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। তাকে দ্রুত স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তা-না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
সহকারী অধ্যাপক সরোয়ার হোসেন বলেন, পদত্যাগের পর মান্নান বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সে যেকোনো সময় কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘাটাতে পারে। এজন্য তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রভাষক রেজানুর রহমান বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান অধ্যক্ষ থাকা সময় আমার কাছে থেকে সে চাপ দিয়ে টাকা নিয়েছে। টাকা চাইলেই সে হুমকিধামকি দেন। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। একইসাথে তার শাস্তি চাই।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান মাসুম বলেন, সেচ্ছায় পদত্যাগকারী আব্দুল মান্নান অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন। নিয়োগ বাণিজ্য করেছে, বিভিন্ন জনের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন। তার মতো দুর্নীতিবাজের হাতে পড়ে কলেজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার মতো অধ্যক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই। সে পদত্যাগের পর আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কলেজের সকল শিক্ষককে নিয়ে কলেজের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কলেজটি ধ্বংস করার জন্য সে উঠে পড়ে লেগেছেন। তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক। তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।