নিজস্ব প্রতিবেদক: সাত বিয়ে করে আলোচিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯)। তিনি প্রায় এক বছর ধরে সাত স্ত্রীকে নিয়ে একই বাড়িতে সংসার করছেন। চার মাস আগে এক বউ তালাক দিয়েছে রবিজুলকে। বাকি ৬ বউয়ের দুজনকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্রাম্য মাতবররা তাড়িয়ে দেওয়ার পর পুলিশ সহায়তায় দুই বউকে ফিরে পেয়েছেন রবিজুল।
শনিবার দুপুরের দিকে রবিজুলের দুই বউকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে দুই বউ পুলিশকে নালিশ করলে পুলিশ সহয়তায় রাত ১০ টায় ফিরে পেলেন তার দুই বউকে।
রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়া পাড়ার আয়নাল মণ্ডলের ছেলে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিয়ের এক বছরে রবিজুলের ভালোই চলছিল সংসার। তাদের পরিবারে নেই কোন ঝগড়া নেই কোন বিবাদ। গত শুক্রবারে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম বলেন ইসলামি দৃষ্টিতে ৭টি বিয়ের কোন ইসলামিক বৈধতা নেই আর এই বিবাহ হলেও এর কোন ভিত্তি নেই এই নিয়ে সৃষ্ট কথাতে গ্রামের মাতববররা রবিজুলের ৫ম স্ত্রী ও ৭ম স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে তারা উপায় না পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে নালিশ জানালে পুলিশি সহায়তা বাড়ি ফিরে আসে রবিজুলের দুই স্ত্রী।
রবিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাত বিয়ে করেছি। ছয় নম্বর বউ জুই চার মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। বাকি ছয় বউকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। আমার বউরা সুন্দরভাবে সংসার করছে। কিন্তু গতকার সকাল ৮টায় গ্রামের মাতবররা পাটিকাবাড়ি বাজারে আমাদের ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এরপর তারা জোর করে দলিলে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে দুই স্ত্রীকে দুই লাখ করে চার লাখ টাকার চেক দিতে বাধ্য করেন। তারা আমার বাড়ি থেকে ৫ নম্বর বউ সোহানা আক্তার ও ৭ নম্বর বউ মিতা আক্তারকে জোরপূর্বক বের করে দেন।
লিটন, আমিন, রহিম, শাহজাহানসহ স্থানীয় মাতবরদের দাবি- এত বউ নিয়ে সংসার করা যাবে না।
তার দুই স্ত্রী মিতা ও সোহানা বলেন, “আমরা জেনে শুনেই রবিজুলকে বিয়ে করছি। আমাদের খাওয়ার কষ্ট নেই, পড়ার কোন কষ্ট নেই, আমরা তো খুব সুখে জীবনযাপন করছি আমাদের দুইজনকে গ্রামের মাতববররা বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর আমরা ক্যাম্পে পুলিশি নালিশ করলে পুলিশের সহায়তায় আমরা রাত দশটায় বাসায় ফিরছি “।
স্থানীয় মাতব্বর পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সফর উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করলে রিসিভ করেননি এবং তার মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাটিকাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মনজুরুল বলেন,রবিজুলের পরিবারের সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১০ জুন২০২৪

Discussion about this post