কুষ্টিয়ায় আইনজীবীর বাসায় নার্সিং শিক্ষার্থী রহস্যজনক মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে স্থানীয় ২১নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা ও প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
এসময় পরিবার তুলি হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে, ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশী ভুমিকায় গড়িমশি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এঘটনার সকল আলামত গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ তুলে আসছে পরিবার। বক্তারা ন্যায় দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তসহ অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত ২২ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুল ইসলামের কণ্যা কুষ্টিয়া নার্সিং ইন্সষ্টিটিউটের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি (২০)র মরদেহ উদ্ধার করা হয় শহরের মজমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাসরত এক তরুণ আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের বাসা থেকে।
ঘটনাটিকে ওই আইনজীবী আত্মহত্যা দাবি করলেও নিহতের পরিবার ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে বিচার চেয়ে নিহতের মা শরিফা বেগম বাদি হয়ে ওই আইনজীবীসহ ৫জনের নামোল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘নার্সিং শিক্ষার্থী তুলি হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ব্যক্তিরা উচ্চ আদালত থেকে এ্যান্টিসিপেটরী বেল নিয়েছেন। উচ্চ আদালতের আদেশে নির্দেশিত ৮সপ্তাহ সময়সীমা শেষে সংশ্লিষ্ট নিম্নআদালতে হাজির হয়ে জামিনাবেদনের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া এমামলার স্বাভাবিক তদন্ত কাজ করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক অভিক বড়াল’।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post