নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার আব্দালপুর ইউনিয়নের বিষনুদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের ( ৬৫) ছেলে রাসেল ওরফে সোহাগ (৩০) এবং , আশিকুর রহমান আশিক (২৮ ) । দুই ভাই চাকরি করেন আনসার ব্যাটালিয়নে । সোহাগ শফিপুর অনসার ক্যাম্পে এবং আশিকের পোষ্টিং খিলগা আনসার ক্যাম্পে। আনসার ব্যাটালিয়নে চাকরি করার সুবাদে তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাচাদের সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নেয়ার এক জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে তাদের দুই চাচা মৃত বদর উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মো: আব্দুল মতিন (৬০) ও সদর উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুব রহমান লজেনের (৫৬) জমি জোর করে লিখে নেয়ার জন্য তাদের পিতা শহিদুল ইসলাম গত ১৪ই জুন ২০২৫ দুপুর ১২টা দিকে মো: আব্দুল মতিনকে ডেকে তার বাড়িতে যেতে বলেন ।
আব্দুল মতিন সরল বিশ্বাসে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গেলে শহিদুল তার তিন ছেলে সোহেল, সোহাগ ও আশিককে বলে এই শালাকে দঁড়ি দিয়ে বাধ। আমাদের বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড় না কাটা এবং এই জমি লিখে না দেয়া পর্যন্ত ওকে ছাড়বি না । একথা বলার পর শহিদুল ইসলামের নিদেশে আব্দুল মতিন বিশ্বাসকে চড় থাপ্পর মারে কুলাংগার ভাতিজারা । জমি লিখে না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা । এ সময় আব্দুল মতিন চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা তাকে রক্ষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আসামিরা হুমকি দেয় জমি না লিখে দিলে তাকে হত্যা করা হবে।
এদিকে একই দিন বেলা ২টার দিকে শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে তার ছেলে সোহেল, রাসেল ওরফে সোহাগ ,ও আশিকুর রহমান আশিক আপন চাচা মাহাবুব রহমান লজেনের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ অনধিকার প্রবেশ করে একটি ফাকা ষ্ট্যাম্প হাতে দিয়ে বলে তোর কোন ছেলে নেই তিন মেয়ে । তোর বাড়ি ঘর-জমি যা আছে আমাদের নামে লিখে দিতে হবে। তা না হলে তোকে আমরা খুন করবো । এ সময় লজেনের স্ত্রী অসুস্থ স্বামিকে বাঁচাতে গেলে আসামিরা রোজিনা ও লজেনকে বেধড়ক মারপিট করে। লজেন ও তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায় কিন্তু যাওয়ার সময় হুমকি দেয় জমি না লিখে দিলে লজেনকে হত্যা করা হবে। এই দুটি ঘটনায় ১৫ জুন আব্দুল মতিন ও মাহাবুব রহমান লজেন দূর্বত্তদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ইবি থানা ওসি মেহেদী হাসান জানান, আমি ২টি অভিযোগ পেয়েছি । বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে আসামিদের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ মোবাইল রিসিভ করেন নি।
এ দিকে অভিযোগকারী আব্দুল মতিন ও মাহাবুব রহমান লজেন এবং এলাকাবাসী আসামিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পাশাপাশি আনসার সদস্য রাসেল ওরফে সোহাগ (৩০) এবং , আশিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আনসার ব্যাটালিয়নের ডিজিকে অনুরোধ জানিয়েছেন।