মো. নজরুল ইসলাম ,নিজস্ব প্রতিনিধি, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে রোপা আমনের সবুজ পাতায় স্বপ্ন বুনছে কৃষকেরা।
হাওরের চারদিকে এখন সবুজের সমারোহ, যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সকালের সোনালী রোদে ধানের পাতার শিশির ফোটায় আলোর ঝলকানি যখন কৃষকের মনে দোলা দেয় তখন সুখের স্বপ্নে বিভোর হয়ে কৃষক তাকিয়ে থাকে জমির দিকে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজ আলপনায় আঁকা কৃষকের আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন। কিছুদিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ, পাকা ধানে ভরে উঠবে কৃষকের গোলা। ধারনা করা হচ্ছে, এবার হাওরে আমনের বাম্পার ফলন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করবে।
কৃষি আফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপনের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ শত হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পূর্বঅষ্টগ্রাম, অষ্টগ্রাম সদর, আবদুল্লাহপুর, কলমা, দেওঘর ও বাঙালপাড়া ইউনিয়নের হাওরে আমন ধানের মাঠ সবুজে চেয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ক্ষতিকর পোকা ফসলের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর তারা ব্রি-৪৯, ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, ব্রি-৯৩, বি আর ২২,বীনা-৭, বীনা-১৭ জাতের ধান রোপণ করেছেন। আমন মৌসুমের শুরুতে সেচের পানি কিনতে হয়নি বলে তাদের খরচও কম হয়েছে, এতে করে তারা আর্থিক ভাবে বেশি লাভবান হবে। সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের খাদ্যের চাহিদাও পূরণ হবে।
পূর্বঅষ্টগ্রামের প্রান্তিক কৃষক ইয়াছিন খান বলেন, এবছর আমি ২ বিঘা জমিতে আমন ধানচাষ করেছি। সুন্দর ধানের চারা দেখে মন ভরে গেছে, একই গ্রামের আরেক কৃষক মাগন মিয়া বলেন, হাওরে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকদের পরামর্শে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি।
এবিষয়ে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটায় এবছর অষ্টগ্রাম উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে বাদামি ঘাস ফড়িঙের আক্রমন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেন তিনি।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post