বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ‘ফ্যাসিবাদের শাসনামলে যারা দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে । নির্যাতনের পেছনে চরিত্রহরণ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
‘ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের বটতলায় খেলাফত মজলিস আয়োজিত ‘জুলাই পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর দেশে অনেক অন্যায় জুলুম হয়েছে। কিভাবে মানুষকে গুম করা হয়েছে। মানুষ গুমের শিকার হলে পরিবারে কী ভয়াবহ প্রভাব পড়ে তা পরিবারই জানে। আমরা সেই গুমের রাজ্যে আর কোনোদিন ফিরে যেতে চাই না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি দরকার। ছাত্ররা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টা করে তাহলে তারা কি করতে পারে তারা তা দেখিয়ে দিয়েছে গত ৫ আগস্টে। ছাত্ররা শেখ হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে বিফল করে তারা একত্রিত থেকেছে। এবার ছাত্ররা বাংলাদেশের মানুষকে সুসংগঠিত করতে পারলে দেশ নতুন আলোর মুখ দেখবে। ’ এছাড়াও তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামকে প্রায়োরিটি দেওয়ার আহবান জানান। ’
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘একদিনে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব না। ১৬ বছরে যা করেছে তা পরিবর্তন করা কষ্টসাধ্য। সময় নিয়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা ফ্যাসিবাদি সিস্টেমকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। ’