ইউক্রেনে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, খারকিভে গুচ্ছ বোমা ছুড়ে কয়েকশ নাগরিককে হত্যা করেছে রুশ বাহিনী।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাসে রুশ ও জেলেনস্কি বাহিনীর মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই।
রবিবার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। খবর রয়টার্স।
ইউক্রেনে পাল্টাপাল্টি গোলা ও রকেট হামলার শব্দে প্রকম্পিত হয়ে রয়েছে চারপাশ। রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরতিহীন লড়াইয়ে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস। গোলার আঘাতে দিন দিন বাড়ছে ধ্বংসযজ্ঞ। হতাহত হচ্ছে বহু বেসামরিক নাগরিক।
দোনবাসের স্থানীয় একজন জানান, আমি মাঠের বাইরে ছিলাম। নিজের চোখে বিস্ফোরণ দেখিনি। তবে ফসলের ক্ষেতে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আগুন নেভাতে আসি।
রোববার দোনবাস ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনের তারনোপিল শহরেও হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ হারান বলে দাবি করেন স্থানীয় মেয়র। রুশ সেনাদের হামলা থেমে নেই পূর্বাঞ্চলীয় আরেক শহর সেভেরেদোনেৎস্কেও। বার্তা সংস্থা এপির প্রকাশিত এক ভিডিওতে ফুটে ওঠে অঞ্চলটিতে তাণ্ডব চিত্র।
এদিকে, কিয়েভকে পশ্চিমাদের পাঠানো একটি অস্ত্রের ডিপো ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এটি ধ্বংস করা হয়।
তবে এত কিছুর পরও রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে থেমে নেই জেলেনস্কি বাহিনীও। পাল্টা জবাব দিতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ১০৯ দিন পেরিয়েছে।
রুশ সেনাদের মোকাবিলায় ইউক্রেনের আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, রুশ সেনারা দোনবাস দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের মিত্রদেশগুলোর প্রতি একটাই আহ্বান: আমাদের আরও উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র-সরঞ্জাম প্রয়োজন। আর অস্ত্রসহায়তা পেলে জুনেই রাশিয়া অন্তত ৪০ হাজারের মতো সৈন্য হারাবে।
জা//দেশতথ্য/১৩-০৬-২০২২//১০.১৭ এ এম

Discussion about this post