Print Date & Time : 21 July 2025 Monday 8:27 pm

ইবিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

ইরফান উল্লাহ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী-২০২৫ পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি র‍্যালী বের হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে র‍্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমান কর্তৃক স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরাম, সাধারণ কর্মচারী ফোরাম, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, বেগম খালেদা জিয়া হল,উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা) হল, আইন বিভাগ, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও ইবি শাখা ছাত্রদল।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। যেখানে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন করবেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। বরং দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য ছিল আধুনিক ও ইসলাম শিক্ষার সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর এই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে যে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে গেছেন তা প্রতিষ্ঠায় এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় জুমা’র পরে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।