Print Date & Time : 14 March 2025 Friday 3:47 am

ইসরাইল যে কারণে ইরানে বড় হামলা চালায়নি

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক : ইসরাইলে অক্টোবরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানে ‘বড়সড় আক্রমণের’ হুমকি দিয়ে আসছিল নেতানিয়াহু। কিন্তু ইরানে ইসরাইলের সক্ষমতা থাকলেও কেন সর্বাত্মক হামলা চালায়নি ইসরায়েল? ইসরায়েলি পত্রিকা দ্য জেরুজালেম পোস্ট দাবি করেছে, মূলত নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপের মুখে আক্রমণের মাত্রা ‘সীমিত’ রেখেছে দেশটি। তবে নির্বাচনের পর বড় মাত্রার আক্রমণ আসতে পারে।

ইসরায়েলের সরকারপন্থী পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে ‘আপাতত’ শুধু ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির একটি কারখানায় হামলা চালানোরও দাবি করা হয়।

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা দাবি করেছে, ইসরায়েলের আক্রমণে দুটি সীমান্ত প্রদেশ ও রাজধানী তেহরানের কাছাকাছি কিছু রাডার ইউনিট ‘সামান্য’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ইরানের দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার জবাবে ইসরায়েলের এই আক্রমণ ‘যথার্থ’ না বলে রায় দিয়েছে দেশটির সরকারি ও বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী। এর পেছনে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক চাপকে দায়ী করছেন তারা। গত ১ অক্টোবরের আক্রমণের পর থেকেই বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সতর্ক করে এসেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা বা অর্থনৈতিক অবকাঠামোগুলোকে যেন লক্ষ্যবস্তু না করে। নির্বাচনের আগে ইরানের ওপর বড় আক্রমণের প্রভাব নির্বাচনের ফলাফলে পড়তে পারত বলে আশঙ্কা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

জেরুজালেম পোস্ট দাবি করে, শনিবারের আক্রমণে সিরিয়া, ইরাক এবং ইরানের অনেকগুলো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাটারি এবং রাডার ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (আইএএফ)। এর মাধ্যমে ইরানে আক্রমণের ‘একটি পরিষ্কার রাস্তা’ তৈরি করে তারা। এই রাস্তা তৈরির মূল উদ্দেশ্য একটিই, সামনে ইরানে বড়সড় হামলা চালানো। ‘এবার ইরানের পারমাণবিক ও তেল স্থাপনাগুলোতে হামলা করা হয়নি। এর মানে এই না যে সামনে হবে না।’

এসব স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এর বিরোধিতা করতে পারেন। তাই নির্বাচনের আগে এ ব্যাপারে ঝুঁকি নেয়নি ইসরায়েল।