Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 1:58 am

উৎকণ্ঠা: যশোর এক সপ্তাহে ৪ খুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
পরপর ৩ দিনে চার নৃশংস খুন করা হয়েছে। যশোরে থামছে না খুনো-খুনি।

সর্বশেষ রোববার রাতে অভয়নগরে দলীয় পদ-পদবী নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে মুরাদ হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতা দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছে।

এরআগে, শনিবার রাতে সদরের রামনগরে চোর অপবাদ দিয়ে এক ভাটা শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে।

যার লৌমহর্ষক ও পৈশাচিক নির্যাতনের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার আগের দিন সন্ধা রাতে যশোর রেলস্টেশনে পুলিশের ‘কুথিত সোর্স’ নামে পরিচিত রনি-প্রিন্সের নেতৃত্বে একদল মাদক কারবারী কুপিয়ে খুন করে জুম্মানকে।

এনিয়ে গত চলতি বছরের দেড় মাসে যশোরে অন্তত ১২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

প্রাপ্ত সূত্র জানিয়েছে, এসব খুনোখুনির ঘটনার মূলে রয়েছে পক্ষ-বিপক্ষের দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র বেচা-বিক্রিসহ নানা কারণ। খুনোখুনির পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা লেগেই আছে। এরমধ্যে বেশ কিছু ঘটনায় জড়িতদের ডিবি পুলিশ আটক করেছে।

গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে আগুনে পোড়া মহাসিন নামে সুদি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের ধারণা ছিলো পেট্রোল ঢেলে মুখমন্ডলসহ সারা দেহ পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্ট করেছে খুনি।

গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে যশোর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে জুম্মান নামের এক যুবক নিহত হন। তিনি শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এলাকায় সন্ত্রাসীদের তালিকায় নিহত জুম্মানের নাম রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ এইও দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সোলায়মান হোসেনকে। এলাকায় মাদকের কারবার এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয়েছেন তিনি।

এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাত নামলেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছে অনেক পথচারীকে। শুক্রবার শহরের সিটি কলেজপাড়ার বাসিন্দা শ্রমিক ইউনিয়নের ইজিবাইকচালক সুশান্ত কুমারকে ছুরিকাঘাত করেন ছিনতাইকারীরা। এ সময় ইজিবাইকটিও ছিনিয়ে নেন তাঁরা।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র বেলাল হোসাইন বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তা পারিবারিক কলহের জেরে। হত্যাকাণ্ডের পর জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দফায় দফায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//