মেহেরপুর প্রতিনিধি: একই সাথে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ও বামন্দী নিশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামের একজনের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা মেহেরেপুরের গাংনী উপজেলায়।
জানা গেছে, ২০১১ সালের মাঝা মাঝি সময় বঙ্গবন্ধু কলেজে ভ’গলের প্রভাষক নিয়োগ নেন সাইফুল ইসলাম। পরে ২০১৬ সালের জুন মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ নেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে চালিয়ে যান দু’টি প্রতিষ্ঠানে সাইফুল ইসলাম।
এক দিন কলেজে গিয়ে মাসে পর মাসের শিক্ষক হাজিরা খাতা স্বাক্ষরের অভিযোগও রয়েছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে কলেজের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও বিভিন্ন সময় তাকে কলেজে দেখা যায় বলে দাবি করেন কলেজের অন্যঅন্যা প্রভাষক ও কর্মচারিরা।
নিশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, সাইফুল ভাই নিয়োগের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে যাচ্ছেন। তবে তিনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন কি না এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
বঙ্গবন্ধু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুর ইসলাম জানান, আমি গত ১১ আগস্ট নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যোগদান করেছি। আগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন প্রকার হিসার না দিয়ে নিরউদ্দেশ হযেছে। তরে আমি অন্যন্যা প্রভাষকের মুথ থেকে শুনেছি সাইফুল ইসলাম এক সময় ভুগোল বিভাগের প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ নিয়ে ছিল।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ততকালিন সভাপতি বামন্দী ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন বেতন না হওয়া কলেজে যাওয়া বন্ধ রেখেছি। মানুষ তো ভালো কিছুর আশায় থাকে, তাই আমিও আছি। সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, এসব বিষয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করলে আপনাদের অনেক বেশি সমস্যা হবে।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি একই সাথে যদি দু’টি প্রতিষ্ঠনে চাকুরি করে থাকে তাহলে ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নিবাহীর্ অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২১ আগষ্ট ২০২৪

Discussion about this post