অ্যাপ ভিত্তিক অনলাইন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ’
এমটিএফই নামে কথিত এমএলএম কোম্পানীর ফাঁদে লক্ষ লক্ষ টাকা লগ্নী করে
প্রতারিত হয়েছেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বহু মানুষ।
দুবাইভিত্তিক এ কোম্পানীতে ছোট ছোট বিনিয়োগেও পাওয়া যাবে অধিক মুনাফা,
অনেকে প্রথমত পাচ্ছিলেনও তা। আর চোখের সামেন অন্যদের বেনিফিটেড হতে দেখে
উপজেলার কপিলমুনিসহ প্রত্যন্ত এলাকার শত শত মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়ে সর্বশেষ রীতিমত হায় হায় করে বেড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটক্যালস
কোম্পানীর এক রিপ্রেজেন্টেটিভ মো: বিল্লাল হোসেন। বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা
এলাকায়। তিনি দীর্ঘ দিন চাকরির সুবাদে কপিলমুনি সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে
বসবাস করে আসছেন। চাকরির সুবাদে অন্য কোম্পানির সহকর্মীদের পাশাপাশি
বিভিন্ন ডাক্তার, ফার্ম্মেসী, ল্যাব, ক্লিনিক, হাসপাতাল
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। আর এই সুযোগে তিনি
অ্যাপস ভিত্তিক অনলাইন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে অর্থ লগ্নি করতে সকলকে
উদ্বুদ্ধ করেন। মূলত তখন থেকেই একজন অপর জনকে দেখাদেখি করেই জড়িয়ে পড়েন এমটিএফই’র ফাঁদে।
ভূক্তভোগী এমটিএফই’র গ্রাহকরা জানান, অ্যাপটিতে সপ্তাহের শনি ও রোববার বাদে বাকি ৫ দিন ট্রেডিং হতো। ২৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ ডলার ঢুকালে
সপ্তাহে ৫ দিনের প্রতিদিন ৫ ডলার করে লাভ দেওয়া হতো। ৬০ হাজার টাকা
ঢুকালে সপ্তাহে ৫ দিনের প্রতিদিন ১৩ ডলার করে লাভ দেওয়া হতো। অবশ্য মাসে
২-৩ দিন কিছুটা লোকসানও দেখানো হতো। গ্রাহকদের ভাষ্যমতে, সপ্তাহের
ট্রেডিং শুরু হতো সোমবার। ওইদিন অ্যাপে ঢুকে শুধু একটি জায়গায় ক্লিক করতে
হতো। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আর তেমন কোনো কাজ ছিল না। স্বল্প সময়ে অল্প
বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় অনেকেই তাই হুমড়ি খেয়ে বিনিয়োগে মেতে উঠেন।
প্রতারিতরা বলছিলেন, ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগাতে তারা এ স্কিম পলিসিকে
ইসলামী শরীয়ত সম্মত ব্যবসা বলেও প্রচার দেয়। ফলে তাতে কাজও দেয়।
সব মিলিয়ে এলাকার ঠিক কি পরিমাণ মানুষ ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ’ বা
এমটিএফই-তে জড়িয়ে পড়েছেন তার সঠিক হিসাব জানা না গেলেও অভিযোগকারী
প্রতারনার শিকার কপিলমুনি অঞ্চলের ১১ জনের একটি তালিকা এ প্রতিবেদকের
হাতে পৌছেছে। যাদের লগ্নির পরিমাণ জনপ্রতি ৭ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ
টাকা পর্যন্ত।
প্রতারিতরা বলেন, নিয়মিত মোবাইলে এমটিএফই’র অ্যাপের মাধ্যমে লগ্নিকারীর
লগ্নির পাশাপাশি লাভের টাকার হিসাব দেখানো হতো। আবার অ্যাপ থেকেই টাকা
তোলা উত্তোলন করা হতো। মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে টাকা জমা বা তোলার
ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ কোম্পানির প্রতিনিধি বা যার মাধ্যমে
অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তার কাছেই লেনদেন করতেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানানো হয়, প্রথম প্রথম সবাই প্রতিদিন নিয়মিত মুনাফা
পেয়েছেন। তাদের অধিকাংশরাই আবার মুনাফার সেই টাকা ফের বিনিয়োগ করেছিলেন।
এভাবে লেনদেন চলছিল। আকষ্মিক অগস্ট মাস থেকে তারা কেউ আর টাকা তুলতে
পারছেন না। প্রথমে তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু কিছু করে ডলার জমা দেখানো হলেও
পরে সেগুলো মাইনাস দেখাতে শুরু করে। মাসের শুরুতে দেখা যায়, কোন লাভও
আসছে না, লোকসানও আসছে না। বিষয়টিকে লিডিং কাস্টমাররা সার্ভারের সমস্যা
বলে চালিয়ে দেয়। ক’ দিন পর লাভ ডাবল করে দেখানো হলেও কেউ টাকা তুলতে
পারছিল না। কোম্পানির লোকজন বা লিডিং কাষ্টমাররা আবারো বিষয়টিকে সার্ভার
সমস্যা আখ্যা দিয়ে আরেকটু ওয়েট করতে বলেন।
সর্বশেষ সাম্প্রতিক সবার একাউন্টে আকষ্মিক লস দেখিয়ে মেসেজ আসা শুরু
করেছে এবং সে অনুযায়ী বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে তাগিদ দিয়ে অন্যথায়
কোম্পানি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে ঐসকল মেসেজে।
এমটিএফই কোম্পানি কি?
গত কয়েক দিনে লগ্নিকারি বা কাষ্টমারদের অবস্থার পরি প্রেক্ষিতে
দেশী-বিদেশী পর্যায়ে তথ্যনিুসন্ধানে জানাগেছে, দুবাই-ভিত্তিক এই
কোম্পানির পুরো নাম মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ বা সংক্ষেপে এমটিএফই। ২০২২
সাল থেকে এই কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে, যদিও তাদের ওয়েবসাইটে ২০১৫ সাল
থেকে ব্যবসা শুরুর দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দুবাই-ভিত্তিক
প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হিসাবে ক্যানাডার
অন্টারিও’র একটি ঠিকানা দেয়া হয়েছে। যদিও ওই ঠিকানায় এই প্রতিষ্ঠানের
নামে কোন অফিস পাওয়া যায়নি। বরং এটা দ্যা ভিঞ্চি ভার্চুয়ালের একটি ভার্চুয়াল অফিস স্পেস হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হলেও এটি মূলত প্লে-স্টোর
ও অ্যাপস্টোর থেকে অ্যাপ নামিয়ে এদের সদস্য হতে হয়। এই কোম্পানির
প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ আল ইসলাম বলে বিবিসির এক
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। শুরুতে অন্তত ২৬ ডলার বা সমপরিমাণের টাকা
বিনিয়োগ করতে হয়। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে এই টাকা জমা দেয়া যায়।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা পাওয়া কি সহজ হবে?- কর্তৃপক্ষ কী বলছে:
ডলারে বিনিয়োগ করে বিদেশি নানা ব্যবসায় পুঁজি খাটানোর কথা বলা হয়েছিল
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। অ্যাপল স্টোরের অ্যাপে এই কোম্পানির পরিচিত
সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি একটি কম্যুনিটি ভিত্তিক ট্রেডিং প্লাটফর্ম। যারা
বিনিয়োগ করতে চান, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের বিনিয়োগের মাধ্যম
হিসাবে কাজ করে এমটিএফই। যার মধ্যে আছে বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ, জ্বালানি
তেল, শেয়ার মার্কেটসহ শতাধিক পণ্য।
বিনিয়োগকারীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসায় স্বল্প পুঁজি
আকারে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং মুনাফা পাবেন। সেখানে দাবি করা হয়েছিল,
বিনিয়োগকৃত টাকার প্রতিদিন ৩ থেকে ৮ শতাংশ মুনাফা দেয়া হবে। যেমন তাদের
প্রথম প্লানে বলা হয়েছে, কেউ যদি ৩০ ডলার বিনিয়োগ করে, তাহলে মাসে ২২
থেকে ৪৪ ডলার পর্যন্ত পেতে পারে।
শরীয়ার নামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং প্রতারিতরা জানান, এটা মাল্টিলেভেল
মার্কেটিং কোম্পানী না হলেও মূলত এর আদলে কারো মাধ্যম বা রেফারেন্সে নতুন
বিনিয়োগকারী আসলে প্রত্যেক নতুন সদস্যের জন্য ঐ রেফারেন্সকারী দুই ডলার
করে পাবেন। সে হিসেবে প্রত্যেকেই একেকজন কাষ্টমার আর ক্রমানুসারে
সিনিয়ররাই লিডিং দ্য কাষ্টমার।
যেমন প্রথম লেভেলে দুই জনকে বিনিয়োগকারী সদস্য সম্পৃক্ত করতে হবে। সেই
দুজন আবার দুজন করে সদস্য আনবে। এদের প্রত্যেকে যে টাকা বিনিয়োগ করবেন,
তার একটা কমিশন পাবেন সদস্য পূর্বতন ব্যক্তিরা। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে
এভাবে সদস্য বানাতে পারলে তাদের সিইও হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হতো।
ঠিক একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে এর আগে জিজিএন, ডেসটিনি, নিউওয়ের মতো
কোম্পানিগুলো এভাবে ব্যবসা করেছে, যার শেষভাগে অসংখ্য মানুষ তাদের অর্থ
খুইয়েছেন। দেখা গেছে, এরকম ব্যবসায় শেষের দিকে যখন অনেক বিনিয়োগকারী
সম্পৃক্ত হন, আর ঠিক তখনই তারা আসলে প্রতারণার শিকার হন।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানানো হয়, শরীয়া ভিত্তিক ব্যবসা করার কথা বলা হলেও
আসলে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতি তৈরি করে তাদের ব্যবসা (প্রতারণা)
বিস্তার করেছে এমটিএফই।
স্বল্প লগ্নির বিপরীতে বিপুল মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মাত্র এক বছরেই
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
বিপুল সদস্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এমটিএফই। অ্যান্ড্রুয়েড প্লে-স্টোরে
এই অ্যাপটি ১০ লাখের বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছেন বলে জানাগেছে।
এটাকে ইসলামী আদলে মুনাফা দেখানোর জন্য সপ্তাহে মোবাইলের অ্যাপে চারদিন
মুনাফা যোগ হতো, একদিন লোকসান দেখানো হতো। আর দুইদিন থাকতো ছুটি।
অর্থাৎ একজন ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে সপ্তাহে চারদিনে পাঁচ ডলার করে
২০ ডলার পেতেন। আরেকদিন লোকসান দেখানোয় আবার পাঁচ ডলার কাটা যেতো। সব
মিলিয়ে মাসে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা আসতো।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশরাই আবার তাদের এই মুনাফার
টাকা পুঁজি বাড়াতে ফের সেখানে বিনিয়োগ করেছিলেন।
এমটিএফই ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের দাবি করা হলেও এই
কোম্পানি বিশ্বের কোথায়, কোন ব্যবসায় বা কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে,
তার কোন তথ্য কোথাও উল্লেখ নেই। কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বা বিশ্বের
কোন দেশের সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জে তাদের বিনিয়োগের তথ্য নেই। দুবাই, ভারত
বা বাংলাদেশের কোন স্টক এক্সচেঞ্জেও তাদের বিনিয়োগের কোন তথ্য নেই বলে
জানানো হয়।
এমনকি ক্যানাডায় এই কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করা হলেও গত জুলাই
মাসে অন্টারিও’র সিকিউরিটিজ কমিশন একটি বিবৃতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক
করে দিয়ে বলেছে, সেখানে এই কোম্পানির নামে ব্যবসা করার কোন অনুমোদন নেই।
এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার
জানা মতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বা ব্যবসা করার কোন রকম অনুমোদন এই
কোম্পানির নেই।
ইন্টারনেটে তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, বর্তমানে ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হলেও
এমটিএফইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবিদার মোঃ মাসুদ আল ইসলামের ফেসবুক
প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এর আগে পিএলসি আলটিমার সদস্য সম্মেলনে অংশ
নিয়েছিল। এটি ছিল অ্যালেক্স রেইনহার্ডের প্লাটিনকয়েন নামের আরেকটি এমএলএম
ধরনের প্রতিষ্ঠানের উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠান।
জানাযায়, লোকলজ্জার ভয়ে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই অর্থ খুঁইয়েও মুখ
খুলছেননা। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলেও গণমাধ্যমে
এর নাম এসেছে সবে মাত্র। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত প্রবাসীসহ বিভিন্ন
মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তৃণমূলে পৌছে যায় ব্যবসাটি। তাই শুরুতে শহর
দখল করতে পারেনি বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ২০১৫ সাল
থেকে বহুবার, প্রায় প্রতি বছর মানুষজনকে সতর্ক করে আসছি যেন তারা এ ধরনের
অতি মুনাফা কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ না করেন। বিশেষ করে বিদেশি মুদ্রায়
বিনিয়োগ নিয়ে তো আইনই আছে। তারপরেও মানুষ গোপনে এ অনলাই ব্যবসায় বিনিয়োগ
করেছে।’
কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারে বিনিয়োগের কথা বলা হলেও তারা তো প্রকৃতপক্ষে
সমপরিমাণের টাকায় লেনদেন করেছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকিং সেবা
ব্যবহার করা হলে তো ধরার উপায় নেই। তবে হুন্ডির মাধ্যমে বা দেশ থেকে
বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করা গেলে আইনি ব্যবস্থায়
আনার সুযোগ রয়েছে বলেও মত দেন তারা। সর্বশেষ বিনিয়োগকারী প্রতারিতদের
মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসার পরে আর্থিক
গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করতে শুরু করেছে বলেও দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের এ মুখপাত্র।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এমটিএফই’র সিইও পরিচয়ধারী হেলথ কেয়ার
ফার্মাসিউটিক্যালসের রিপ্রেজেন্টেটিভ মো: বিল্লাল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল
একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে খুলনার পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল
ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এমটিএফই’র
প্রতারণার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন প্রকার অভিযোগ
করেনি। অভিযোগ পেলে তিনি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান পুলিশের
এ কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post