সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে সোজা করা হচ্ছে হেলেপড়া গাইড ওয়াল
খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে গোবরা বাজার সড়ক সংস্কার ও মেরামত কাজে হেলে পড়া গাইড ওয়াল সোজা করা হয়েছে সিমেন্টের খুটির ঠেক দিয়ে। এর আগে দুর্যোগ ঝুঁকি বৃদ্ধি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যায়ে ১৭ শ’ মিটার দৈর্ঘ্যর এ সড়কটি সংস্কার ও মেরামত কাজ চলাকালীণ নিম্মমানের হেলে পড়ে সড়কের গাইড ওয়াল। এ নিয়ে পত্রিকান্তে খবর প্রকাশে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এবং মেসার্স রাজু ইন্টারন্যাশনাল (জেভি) তড়িঘড়ি করে গাইড ওয়ালের হেলে পড়া ঠেকাতে সিমেন্টের খুঁটির ঠেকের ব্যবস্থা করেছে। তবে হেলে পড়া গাইড ওয়াল ঠেকাতে এমন ব্যাবস্থা সড়কের ভারসম্য রক্ষায় কতটা ভূমিকা রাখবে তা নিয়েও রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, দুর্যোগ ঝুঁকি বৃদ্ধি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (ডিআরএমইপি) আওতায় কয়রা হতে গোবরা বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও মেরামত কাজটি বাস্তবায়ন করছে মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এ্যান্ড মেসার্স রাজু ইন্টারন্যাশনাল (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জাইকার অর্থায়নে ১ হাজার ৬৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি তদারকি করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর (এলজিইডি)। কার্যাদেশ অনুযায়ি এর মেয়াদ আরো এক বছর আগে শেষ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের মার্চে শুরু করে এর কার্যক্রম।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সড়কের এক পাশে নির্মিত গাইড ওয়ালের অধিকাংশই হেলে পড়ে। বিষয়টি সবার নজরে আসলে সিমেন্টের খুটির সাহায্যে ঠেক দিয়ে সোজা করা হয়েছে। এছাড়া মূল সড়কের ভাঙ্গা-চুরা অংশ না খুড়ে সেখানেই নতুন খোঁয়া ও বালু ঢেলে বেড তৈরীর পর তার উপরেই কার্পেটিংয়ের আয়োজন চলছে।
স্থানীয়রা জানান, কোন কোন স্থানে নিন্মমানের ইটের খোঁয়া ঢেলে রোলিং করায় তা নিমিষেই মিশে গেছে কাদা মাটিতে। সড়কের পাশের বাসিন্দারা এসব অনিয়মে বাঁধা দিলেও তারা কারো কথাই মানছেনা।
এ প্রসঙ্গে কয়রা উন্নয়ন সমন্বয় ও সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন, মূল ঠিকদার সেখানে কাজ করছেন না। প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে অন্য একজন কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কের ভারসাম্য ও স্থায়িত্ব রক্ষায় মূলত গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। তবে তা ত্রুটিপূর্ণ হলে সড়কের ভারসাম্য রক্ষায় তা ঠিক কি ধরনের ভূমিকা রাখবে সেটা তার জানা নেই।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আবুল ফজল রাজু কাজটি নিজে করছেন না স্বীকার করে বলেন, ত্রুটিপূর্ণ কাজের ব্যাপারে অবহিত হয়ে সাব কন্ট্রাক্টরকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী দারুল হুদা বলেন, হেলে পড়া গাইড ওয়াল ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সঠিক কাজ বুঝে নিতে সেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি কাজে কোন প্রকার ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য// জুন ০১,২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post