গোফরান পলাশ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাজনৈতিক দলের সমন্বয়হীনতায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১৫ টাকা দরের জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে প্রায় ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবারে।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ নিয়ে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সমন্বয়হীনতায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরনে এমন অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিলের দাবি জানায় বিএনপি। ডিলারদের কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। এছাড়া মামলা, হামলার ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায় বিদ্যমান ডিলারদের অনেকে। ১৫ জন ডিলার ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করে। এতে উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরনে সঙ্কট দেখা দেয়।
সূত্রটি আরও জানায়, বিদ্যমান ১৯ জন ডিলার বিএনপি নেতা-কর্মীদের কানেকশনে ১০ হাজার ৯ শ’ ১৭ জন উপকারভোগীদের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে বিতরণ করেছে। বাকী ১৫ ডিলারশিপের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরে আবেদন জমা দেয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বেশ কয়েক জন। এতে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটি আবেদিত দুই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ডিলারশিপ নিয়োগের প্রস্তাব করলেও বিএনপি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের একটিও ডিলারশিপ দিতেও রাজী হয়নি। ফলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১৫ ডিলারশিপ নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। যাতে ৯ হাজার ২শ’ ৩৬ উপকারভোগী পরিবারের ৩০ কেজি করে ২৭৭.০৮০ মে. টন চাল উত্তোলন ও বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল্লাহ বলেন, ’বিদ্যমান ৩৪ ডিলারের মধ্যে ১৯ জন ডিলার তাদের বরাদ্দের চাল উত্তোলন করেছে। ১৫ জন ডিলার পদত্যাগ করায় আমরা ডিলার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। খাদ্য বান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে। আপাতত নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত আছে।’
উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি, কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’১৫ ডিলার নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। নিয়োগ সম্পন্ন হলে উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণ করা হবে।’