কুমারখালী (কুষ্টিয়া ) প্রতিনিধি: কুমারখালীর কল্যাণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের নিকটাত্মীয় ৮ শিক্ষক-কর্মচারী।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, শিলাইদহ ইউনিয়নের
কল্যাণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন না করে সারাক্ষণ বিগত সরকারের গুনগান নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি স্কুলের দায়িত্বও সঠিক ভাবে পালন করেননা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক–কর্মচারীদের মধ্যে ৮ জনই প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়। এর মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী এলিনা খাতুন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক আইসিটি নিবন্ধন সনদ ভূয়া (কম্পিউটার সনদ),সামছুল আলম,সহঃ প্রধান শিক্ষক (চাচাতো ভাই),জিনিয়া,বাংলা শিক্ষক,২ বছরের ছুটির জন্য ১ম বছর ৯০ হাজার,২য় বছর ৭০ হাজার মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ছুটিতে যায়,আবু সাঈদ নৈশ প্রহরী’র কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য, কানন,অফিস সহকারী’র ৮ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য (মামাতো ভাই),নাসরিন আয়া’র ৭ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য, হাফিজুর, মালি’র ৮ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য (মামাতো ভাই),নাসরীন, লাইব্রেরিয়ান (নিজ ভাইয়ের স্ত্রী), আলমগীর হোসেন,সহকারী শিক্ষক ‘র ৭ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য (খালাতো ভাই) ও আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী শিক্ষক’র ৬ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য। “ব্যাক ডেটে নিয়োগ” মাসুদ মাষ্টারের স্ত্রী সহকারী শিক্ষক (বাংলা),স্কুলে অনুপস্থিত, টাকার বিনিময়ে উপস্থিত, ক্রীড়া শিক্ষক, বিএড সনদ ও ব্যাক ডেটে নিয়োগ, সাইফুল ইসলামের নিবন্ধন সনদ ভূয়া।
বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। জনশ্রুতি আছে নিজ গ্রাম ও প্রতিষ্ঠান এলাকা ছেড়ে প্রধান শিক্ষক কুষ্টিয়া শহরে বিলাস বহুল বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এই প্রতিনিধি একাধিকবার বিদ্যালয়ে গিয়েও তার দেখা পাননি।
কথা হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুল আলমের সাথে। তিনি বলেন প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই কাউকেই পাওয়া যায় নি,যার কারণে আত্বীয়-স্বজন নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। এখন সবাই বেতন পাচ্ছে আর নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের উল্লেখিত বিষয়ের উপর সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দূর্ণীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ীই প্রত্যেকের নিয়োগ হয়েছে।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post