গাজীপুর কালিয়াকৈরে ৩ দিনের এক শিশু পুত্রকে মাত্র ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুপুত্র বিক্রির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুপুত্রের মা তুহিন আক্তার। তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজলার জোসরাল এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি কালিয়াকৈর উপজলার সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে রাখালিয়াচালা এলাকায় একটি পলিথিন কারখানায় চাকুরি করেন। গত তিন মাস আগে তার স্বামী আরেক নারীকে বিয়ে করে পালিয় যায়। এসময় তুহিন আক্তার গর্ভবর্তী থাকলেও অনেক খােজাঁখুজি করে না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী একটি ফুটফুট শিশুপুত্র সন্তান প্রসব করেন। ওই শিশুপুত্রটি লালন পালন করতে না পারায় দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তুহিন আক্তার ও তার মা খাদিজা বেগম। পরে শনিবার দুপুরে রাখালিয়াচালা এলাকার প্রবাসী মনির হাসানের স্ত্রী নাসিমা বেগম ওই শিশুপুত্রকে দত্তক নেন। এসময় খুশি হয়ে তুহিন আক্তারকে নগদ ৫ হাজার টাকা দেন। পরে একটি সাদা নন জুডিশিয়াল স্টাম্প এলাকাবাসীর কয়েকজনের উপস্থিততে স্বাক্ষর রেখে তুহিন আক্তারকে বিদায় দেন। ওই শিশুপুত্র বিক্রির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সষ্টি হয়েছে।
তবে শিশুপুত্রের পরিবারের দাবি, লালন পালনে সমস্যা থাকায় শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়। যিনি দত্তক গ্রহণ করেন তিনি খুশি হয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন ওই শিশুপুত্রের মা তুহিন আক্তারকে।
তুহিন আক্তারের মা খাদিজা আক্তার জানান , তুহিনের আগেও তিন সন্তান রয়েছে। আমার মেয়েকে গর্ভবতী অবস্থায় রেখে আরেক নারীকে বিয়ে করে পালিয় যায় তার স্বামী। তুহিনের তিন সন্তান হলো আশরাফুল আলম (৬) সারমিনা আক্তার (৩) তানিয়া আক্তার (১)। তাদের লালন পালন করতেই হিমশিম খাইতাছে। তাই জন্ম নেওয়া শিশুপুত্রকে দত্তক দেওয়া হয়েছে।
মৌচাক ইউপি (৬নং ওয়ার্ড) সদস্য ফখরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এরকম ঘটনা এখন পর্যন্ত জানি না। তবে এখনি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post