Print Date & Time : 23 August 2025 Saturday 8:22 pm

কুড়িগ্রামের পটল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম: পটল একটি গ্রীস্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সব জেলায় পটলের চাষ না হলেো বৃহত্তর রংপুর, রাজশাহী,বগুরা,পাবনা,কুষ্টিয়া,যশোর,ফরিদপুর ও খুলনা জেলায় পটল চাষ করা হয়।
কুড়িগ্রামে এ বছর চলতি মৌসুমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ফলে কৃষকরা এবার পটলের ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি। কুড়িগ্রামের বাজার গুলোতে পটলের বেশী আমদানি হওয়ায় এবং অধিক মুনাফার আশায় এখানকার পটল দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্যমতে,চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ক্ষেতের পটল তুলতে শুরু করে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ করা হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে।

কুড়িগ্রামের বাজার গুলোতে এখন পটল খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।এবার পটলের পাশাপাশি নানা জাতের মৌসুমি সবজি আবাদও ভালো হয়েছে।

জেলা শহরের বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, পটল দিয়ে বাজার ভরে গেছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে পটল এনে সরাসরি পাইকারি বাজারের আরৎ গুলোতে দিচ্ছে। সেই পটল দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী (পাইকার) এর নিকট বিক্রি করছে।

কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের পটল চাষী জয়নাল মিয়া জানান, এবার আমার তিন বিঘা জমিতে পটল আবাদ করেছি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো পেয়েছি।আমি আরৎদারের মাধ্যমে ১২শ টাকা করে প্রতি মণ পটল বিক্রি করেছি।আশা করছি এবার পটল আবাদে ভালোই লাভ হবে।
পৌর কাঁচা বাজারের আরৎদার এনামুল বলেন,আমার আরৎ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা এসে কাঁচামাল কিনে নিয়ে যায়। সকালে পটল পাইকারি ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করেছি। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আমদানি বেশী হওয়ায় ২৭টাকা দরে বিক্রি করতে হয়।আজ বাজারে প্রায় ৫০০শ মণ পটল কেনাবেচা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খামার বাড়ীর উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,এ বছর চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে।গত বছর ছিল ৩৯০ হেক্টর। এবার গত বছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশী। কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম ভালো পেয়ে অনেক খুশি। আশা করছি আগামীতে আরো ফলন বৃদ্ধি পাবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//