কুড়িগ্রামে কনকনে শীত আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার ফলে কাজে বের হতে
পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। বয়স্ক আর শিশুরা অল্পতেই কাহিল হয়ে পড়ছে। দেখা
দিচ্ছে নানান রোগব্যাধী। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জেলা ত্রান ও পূণর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, শীতার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত্ম
জেলায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
থেকে আরো ৩৫ হাজার ৭শ কম্বল দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ পর্যায়ে চলছে।
প্রচন্ড ঠান্ডার ফলে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত
মানুষ। সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যায়
গোটা এলাকা। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা। নদ-নদী
তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ মোটা কাপড়েও ঠেকাতে পারছে না হিম ঠান্ডা।
সদর উপজেলার চর সারডোব এলাকার শ্রমিক দিনোবন্ধু কাজ করছেন আলু
ক্ষেতে তিনি জানান, শির শির বাতাসে হাত পা জমি যাইতেছে। পেটের জ্বালায়
কাজ করছি। কাজ না করলে খামু কি!
এই গ্রামের গৃহবধূ জাহানারা জানান, ঠান্ডাতে শিশুরা পাতলা পায়খানা
করে। জ্বর, সর্দি, কাঁশি হয়। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় মহিলাদের হাত-পায়ে ঘা
হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেদুল হাসান, চরাঞ্চলে
যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে আস্তে আস্তে
সেগুলো আমরা তাদের মাঝে বিতরণ করছি।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post