শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম ও সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফার“কুল ইসলাম মানিকের অপসারণ এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের তদন্ত দাবি করে
বৃহঃবার সকালে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে সংহতি প্রকাশ করে রেল-নৌ যোগাগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।
বৃহঃস্পতিবার ৩ অক্টোবর দুপুরে খলিলগঞ্জ এলাকার কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থী ও উপস্থিত যাত্রীরা মানববন্ধন করেন। পরে রংপুরগামী চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে ,ট্রেনটির সিট,বাতি ,ফ্যানগুলো অকেজো। বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাকর বার বার বলে সমস্যার সমাধান করছে না। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে ডিসি,ইউএনও এর ফোন রিসিভ করেন না। সাধারন জনগণ তার সাথে দেখা করতে পারেন না। আমরা তার এবং সহকারী পরিবহন কর্মকর্তান অপসারণ চাই। সেই সাথে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের তদন্ত দাবি করছি।
খলিলগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মিয়া বলেন,বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে ১৫% কমিশন নেন। তিনি কুড়িগ্রামের ট্রেনগুলোকে সিডিউল বিপর্যয় রোধে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেন নি। বার বার বলার পর আমাদের উপেক্ষা করেছেন। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে গণকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন,দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট-তিস্তা রুটের ১০ ফিট প্রস্থের ১টা কার্লভাট সেটি জোড়া-তালি দিয়ে চলছে। একাধিকবার সংস্কারের করতে বলা হলেও তিনি উদ্যোগ নেননি। ঢাকাগামী ট্রেনটি রাজারহাটে স্টপেজ দিতে বলা হচ্ছে তা করেননি। অবহেলিত এ জেলায় লোকাল ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ সেটি চালু করছেন না। আমরা তার দ্রত অপসারণ চাই ,তার অপকর্মের তদন্ত দাবি করছি। পরে কর্মসূচি শেষে একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়।