শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম:
তীব্র বাতাস ও শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে শীতকষ্টে পড়েছে সাধারন মানুষজন। গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখাও মিলছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
গতকাল তাপমাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কনেকনে ঠান্ডায় শীত কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না লোকজন । দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে সমগ্র জেলার মানুষ।
এদিকে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের শ্রমিক কবির হোসেন (৬৭) বলেন, দুইদিন থাকি সূর্যের দেখা নাই। খুব ঠান্ডা,ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। কাজে যেতে পারিনি। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরে যাবো।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Discussion about this post