জাকের আলী শুভ: কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য উপখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়। দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম মাছ বর্তমানে গ্রহণ করছে। তৃণমূল পর্যায়ে আমিষের যোগান বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার একের পর এক মৎস্য খাতের উপর যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যা আজ বিশ্ব পরিমÐলে স্বীকৃত ও সমাদৃত।
তাছাড়া বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনের ৮৫ ভাগই বাংলাদেশের। সামুদ্রিক মাছ আহরণের পাশাপাশি মিঠা পানির মাছের উপর জোর দিয়েছেন সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে লক্ষ টন মাছ অবমুক্ত করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) বিভিন্ন পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয়, দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাটেজের আওতায়, খাস, সরকারি- প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়, বর্ষাপ্লাবিত ধানক্ষেতে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যেগে ১২টি প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ৪২৯ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান জানান, প্রাতিষ্ঠানিক জলাধার এবং উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে অবমুক্তকৃত পোনা মাছের প্রজাতি হলো রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
মোঃ আব্দুল বারী বলেন, গত বছরের তুলানায় এবার উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছেড়ে যাবে বলে মনে করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, আমরা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেই উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে মাছ অবমুক্ত করেছি। এখনো পর্যন্ত মরে যাওয়া বা নষ্ট হয়েছে এমন কোন খবর পায়নি।
এ সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী, কুমারখালী পৌরসভা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), কুষ্টিয়া মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কুমারখালী, এস এম মিকাইল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) কুমারখালী, মোঃ আমিরুল আরাফাত, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সহ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী, বিভিন্ন মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৭ আগষ্ট ২০২৪

Discussion about this post