কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নির্বাচনী প্রতিপক্ষের হামলা ও ছোড়া গুলিতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের নিয়েছে এবং সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান, কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলামের।
আহতরা হলেন- একই এলাকার মৃত: কেঁদো শেখের ছেলে জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)। তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন সহোদর নদীতে মাছ ধরে জীবিকা চালায়। তাদের পরিবারের দাবি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অপরাধে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সমর্থকরা এই হামলা করেছে।
তবে পুলিশ গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নাকচ করে বলছেন, অনেকদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সামাজিক দ্বন্দের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ‘ছররা গুলিবিদ্ধ দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।’ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বের কালোয়া গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুল খালেকের সঙ্গে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আলতাফ ও জিয়ার হোসেন র্ছরা গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয়রা আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলীর দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য খালেকের ছেলে রিপন আলী মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেছিল। সে জন্য তাঁরাও প্রতিপক্ষকে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সামাজিক দ্বন্দের জেওে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এবিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেফতার করা হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১২ জানুয়ারি ২০২৪