কুমারখালি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলাধীন উত্তর মূলগ্রাম, হিজলাকর, এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর মৌজার বালিমহল ১৪৩০ বাংলা সালের ইজারাদার এস এম রফিকুল ইসলাম বহাল থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় মাসুদ রানা (বালু মাসুদ) ও তার গং ইজারাদার কে উচ্ছেদ ও রশিদ ভুয়া ভাবে ব্যবহার করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
১৯ মার্চ উক্ত স্থানটি পরিদর্শন করলে দেখা যায় বালু মাসুদ গং অবৈধভাবে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর, বাটা হাম্বাসহ বিভিন্ন বালু গাড়ির মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোছাঃ নাসরিন বানু জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত আছি কুমারখালী উপজেলা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, আগামীকালের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ না নিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মুঠোফোনে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক জানান, মাসুদ রানা আমাকে জানান সে ও ইজারাদার এস এম রফিক সমন্বয়ভাবে বালু উত্তোলন করছে। তবে এজারাদার রফিককে এ বিষয়ে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরছেনা। এছাড়া ইজারাদারের সম্পন্ন টাকা পরিশোধ করা হয়নি টাকা পরিশোধ হলে উপজেলা প্রশাসন সকল ধরনের আইনানুন ব্যবস্থা নিবে।
ইজারাদার রফিক জানান, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হক মাসুদ রানার সাথে যোগসাজে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে মাসুদ রানা ও তার গং কে মৌখিক ভাবে বালু উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। এ বিষয়ে আমি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২০ মার্চ ২০২৪