Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 5:45 pm

কুমারখালীতে জোরপূর্বক মাটি কাটার প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী লাঞ্ছিত

কুমারখালী প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মালিকানা সম্পত্তির উপরে রাখা মাটি জোরপূর্বক কেটে নেবার বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভুক্তভোগী।

বুধবার চাপরা ইউনিয়নের ভাড়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শলোক শেখ জানান, ভাড়রা গ্রামে তাদের রেকর্ডকৃত প্রায় দেড় বিঘা সম্পত্তি লাহিনীপাড়া গ্রামের স্বাধীনের ছেলে সোহাগের সাথে বাৎসরিক ৪৮ হাজার টাকা যুক্তিতে ১০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। তার জমির অদুরেই পরবর্তীতে সোহাগের বাবা স্বাধীন গড়াই ব্রিকস নামের ইটভাটা নির্মাণ করেন। স্বাধিন ও তার ছেলে সোহাগ ভাটা পরিচালনা করেন এবং ২০২০ ও ২১ সালে এক লাখ সত্তর হাজার ইটের দাদন বাবদ নয় লাখ সত্তর হাজার টাকা গড়াই ভাটার ভাউচারের মাধ্যমে সোহাগ তার কাছ থেকে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ইট চাইলেও দেয়া হয়না এবং জমি লিজের টাকাও দেয়নি। জমি লিজ ও ইটের টাকা মিলিয়ে তিনি ১২ লাখ টাকা সোহাগের কাছে পাবেন।
এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে শালীসী বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে তিনি আদালতে সোহাগের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা করেন। এরই মাঝে জমির লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তার জমিতে রাখা মাটি সোহাগ কেটে নিতে থাকে।
বিষয়টি কোনভাবেই সুরাহা করতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্মরনাপন্ন হন এবং আদালতের আদেশের ভিত্তিতে থানা পুলিশের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মাটি কাটা বন্ধ হয়।
যেকোন সময় সোহাগ পূণরায় মাটি কেটে নিতে পারে ধারনা করে তিনি সাংবাদিকদের খবর দিলে সাংবাদিকদের সামনেই গড়াই ভাটায় কর্মরত সোহাগের চাচা সহিদ তার উপর চরাও হন। তিনি আইনের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম জানান, জমি লিজের এবং ইটের দাদনের টাকা নিয়ে শালিসি বৈঠক হয়। সেসময় সোহাগের বাবা স্বাধীন টাকা ফেরত দেবার জন্য সময় নেন। কিন্তু স্বাধীনের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় জেল হয়ে যাওয়ায় বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ জানান, আদালতের আদেশের ভিত্তিতে জমির উপর থেকে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।