Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 10:06 am

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতাসহ আহত ৭

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় উত্তর কয়ার শামসের মোল্লা নামে বিএনপি নেতাসহ মোল্লা বংশের ৭জন আহত হয়েছে।

এই হামলার ঘটনায় কুমারখালী উপজেলা জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের আহবায়ক শমসের মোল্লা এখন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউ’তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৬ তারিখ বিকালে শামসের মোল্লার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সেখানে তার তিনটা অপারেশন শেষে বর্তমানে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তাদের দাবি, শামসেরের মাথাতে ভীষন ভাবে আঘান পেয়েছে। প্রায় অর্ধশত শেলাই দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ই এপ্রিল বুঝবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় পরিকল্পিত ভাবে একই এলাকার হামিদ শাহিন গংরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ শাসসের মোল্লার পরিবারের।

জানা যায়, রানা মোল্লা্ সেচ পাম্প দুই বছরের জন্য হামিদ এর কাছে লিজ দেওয়া হয় ।যার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছর ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখে)। কিন্তু তারা লিজের মেয়াদ উপেক্ষা করে পূণরায় সেচ পাম্প দখলের চেষ্টা করেন।

গত বুধবার ভোর ৬ টায় কয়ার মৌজার দক্ষিন মাঠের সেচ পাম্পে রানা মোল্লা তালা মেরে আসে হামিদ ও হামিদের দুই ছেলে শাহিন ও নাইমসহ আসলামের দুই ছেলে আলামিন ও ইয়ামিন।
পরবর্তীতে রানা মোল্লার লোকজন যেয়ে তালা খুলে তাদের সেচ পাম্প নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
সকাল ১০ টার দিকে হামিদের লোকজন প্রথমে হিরাজ মোল্লার ছেলে রিজাউল মোল্লার, রবিউল মৌরী, নান্নু মোল্লা, জিন্না মোল্লার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এসময় সমশের মোল্লা বাধা দিলে বুদি শেখের ছেলে হামিদ, হামিদের ছেলে শাহিন উদ্দিন, নাঈম উদ্দিন, ইছাহাক আলীর ছেলে ইব্রা শেখ, ইব্রা শেখের ছেলে জামিরুল ইসলাম, ইছাক আলীর ছেলে আসলাম, ফজো শেখের ছেলে মনিরুল শেখ, মনিরুলের ছেলে জীবন ও জয়, আব্দুল কুদ্দুস মাস্টারের ছেলে ইকবল ও ইয়ারুল, আপিলের ছেলে ইউনুস, ইউনুসের ছেলে আলিম, আলম ও জাহাঙ্গীর, সোনা শেখের ছেলে মেজো, মেজোর ছেলে মিঠোন, মৃত কাইজালের ছেলে আরিফ শেখ, মৃত মতিনের ছেলে কিরন শেখ প্রমূখসহ তার সাথে থাকা লোকজন সমশের মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করে।
এ অবস্থায় নান্নু মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে উল্লাস মোল্লা,জিন্নাহ মোল্লা,জলি খাতুন,মমতাজ বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের উপরেও হামলা চালায়।
সেসময় তারা গুরুত্বর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় কুমারখালি থানা দুইটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে। উক্ত মামলায় ১জনকে আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ।

নাসির উদ্দিন জানান, হামিদ ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা অধিকাংশই চাকরিজীবী এবং বাইরে থাকে। এই সুযোগে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা পুলিশের ভূমিকাতে খুশি না, ফোন করার অনেক পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেই সাথে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।

বিথী খাতুন বলেন, আমিরুল, ইকবাল, জামিরুল ও জীবনের ভয়ে বাহিরে যেতে পারছিনা, কলেজে যেতে পারছিনা, টিউশনি করাতেও যেতে পারছিনা। তারা বলেছে মোল্লা বাড়ির কোন মেয়েকে পেলে ধর্ষণ করা হবে।

মোছাঃ পলি খাতুন জানান, মনিরুলের ছেলে জীবন ও কুদু মাস্টারের ছেলে ইয়ারুল মেয়েদের ও বৌ দের ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। সেই সাথে রবিউল মৌরীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া বসির নামে মৌরীর সহকারী ও তার বউ খলসিদাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক তাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিলে ১৮ তারিখ দুপুরে বাড়ি ছাড়েন ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। আমি নিজেও এলাকা পর্যবেক্ষণে যাচ্ছি।