কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। ভ‚ক্তভোগীরা টাকা দিয়ে চাকুরী না পেয়ে মাসের পর মাস ঘুরেও টাকা উদ্ধার করতে পারছেনা। প্রতারক চক্রের মুলহোতা শেখ সবুজ আহমেদ তুষার আত্মগোপনে থাকলেও অন্যান্যরা এলাকাতেই আছেন বলে জানা যায়।
উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে ভএক্তভোগী আসলাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,একই এলাকার হক মোল্লার ছেলে লাভলু তাকে জানায়,ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার শারুটিয়া গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে সবুজ সেনাবাহিনীতে ষ্টোর কিপার সহ বেশ কয়েকটি পদে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিচ্ছে। এবং লাভলুর ভাগ্নে সবুজের আস্থাভাজন হওয়ায় তাদের মাধ্যমে নিয়োগ হবে।
লাভলু নিজেও টাকা দিয়েছে জানালে তিনি (আসলাম) শৈলক‚পা ফরহাদের বাড়িতে গিয়ে লাভলুর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে তিনি সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৬০ জনকে তারা ঢাকা নিয়ে যায় এবং একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিকেল করানোর ১ ঘন্টা পরে তাদের হাতে নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে জানানো হয় ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ চাকুরীতে যোগদান করতে হবে।
পরবর্তীতে তিনি (আসলাম) খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র য়া। এরপর তিনি সহ ভ‚ক্তভোগীরা ফরহাদকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এবং ফরহাদ তাকে জানায় তার টাকা লাভলুর কাছে ফেরত দিয়েছে। অপরদিকে লাভলুকে টাকার জন্য চাপ দিলে সে ফরহাদকে দেখায়। এবিষয়ে তিনি শৈলক‚পা থানায় লিখিত অভিযোগ ও কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং ১৪৯৪, তারিখ ৩১/০৭/২০২২ ইং। তিনি আরো জানান সবুজ ও ফরহাদ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে কুমারখালী, খোকসা,কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে মুঠো ফোনে ফরহাদের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান,সবুজ তাদের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে আছে। তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় সবুজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান।
কুমারখালী থানার তৎকালীন ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান,এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী আসলাম কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৫ আগস্ট ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post