কুমারখালী প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে থানায় মামলা করার কারণে, মিথ্যা ও হয়রানী মূলক অপবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৭ জুলাই সকাল ১০ টায় কুমারখালী নিউপ্রাণ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী অফিস রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী বলেন,আমি মোঃ নাসির হোসেন (৪০), পিতা- মৃত আতিয়ার রহমান, গ্রাম আগ্রাকুন্ডা। কুমারখালী,খয়েরচারা আমতলায় নিউ প্রাণ আইসক্রিম নামক আমার একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরি আছে। আগ্রাকুন্ডা গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র জিল্লুর রহমান আমার ফ্যাক্টরির ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে জমি ক্রয় বাবদ ৮ লক্ষ টাকা তার কাছে গচ্ছিত রাখি। গত ২২ এপ্রিল জমি রেজিষ্ট্রির দিন মোবাইল ফোনে টাকা আনতে বললে,ম্যানজারের ফোন বন্ধ পেয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি টাকা নিয়ে সে পালিয়েছে। আমি তার পিতা মহির উদ্দিন,মাতা জোসনা খাতুনকে বিষয়টি অবগত করিলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। বহুবার ঐ টাকার বিষয়ে তাদের সাথে আমার ঝগড়া বিবাদ লাগতে থাকে।
গত ইং-১৭/০৫/২০২৫ তারিখ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার উপর আতর্কিত ভাবে কোপাতে থাকে,আমার চিৎকারে লোকজন আগাইয়া আসলে আসামিরা পালিয়ে যায় । আমাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভতি করে।
উক্ত মামলার আসামীরা হলো ১। মোঃ রবিউল ইসলাম (৪৮), ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম (৪২), উভয় পিতা- মৃত আঃ করিম, সাং-খয়েরচারা, ৩। মোঃ মহির উদ্দিন (৬০), পিতা- মৃত আঃ আজিজ, ৪। মোঃ জিল্লুর রহমান (২২), পিতা- মোঃ মহির উদ্দিন, উভয় সাং-আগ্রাকুন্ডা ৫। মোঃ লালন আলী (২৮), পিতা- মোঃ হোসেন আলী, সাং- করাতকান্দি। মো: নাসির হোসেন এই মর্মে কুমারখালী থানায় একটি এজাহার দাখিল করে।
নাসির আরো বলেন,আমার বাড়ি এলাকার ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, কয়েকবার আমাকে খুন জখমসহ ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
উক্ত মামলা ও টাকা না দেওয়ার কারণে এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি জিল্লুর মা জোসনকে নিয়ে বিভিন্ন অপবাদ শুরু করেছে। নাসির বলেন,জোসনার সাথে আমার কোন অনৈতিক কার্যকলাপ থাকলে আমি মেডিকেল পরীক্ষা করাতেও প্রস্তুত আছি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।