কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানাধীন নন্দলালপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে পাশর্^বর্তী আলাউদ্দিন নগর গ্রামের যুবক মোঃ আলামিন হোসেন (২৪) এর প্রেমের অভিনয় করে আসছিল। গত ০৬ মার্চ ২০২২ তারিখ রাতের বেলা আলামিন হোসেন ভিকটিমকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করেছিল তার দুই বন্ধু ইমন ও রাকিব। এক পর্যায়ে আলামিন ও তার দুই বন্ধু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনাটি ইমন তার মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলামিন ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে উক্ত ভিডিও গ্রামের কয়েকজন যুবকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকমুখে জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের দাদী বাদী হয়ে পরদিন গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ তৎসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার-৩৮, তারিখ-২২/০৯/২০২২।
ঘটনাটি কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-০২, র্যাব-০১ এবং সিপিসি-০১, র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২’র যৌথ অভিযানে গত ০২ অক্টোবর ২০২২ তারিখ দিবাগত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গাজীপুর হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি মোঃ আলামিন হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ মুক্তার হোসেন, সাং-আলাউদ্দিন নগর, থানা-কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আলামিন হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আলামিন দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে বর্তমানে বেকার অবস্থায় আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ০৪,২০২২//