এনামুল হক কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নন্দলালপুর ইউনিয়নের চড়াইকোল পুটিয়া গ্রামে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক গ্রুপ প্রবাসীদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু সেক্সের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও-ছবি ধারণ এবং ব্ল্যাক মেইল করে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ দায়ের।
এব্যাপারে কুমারখালী থানায় দূর্গাপুর গ্রামের মোঃ আশিকুর রমহান সবুজ বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, উপজেলার পুটিয়া গ্রামের ১)রিমা আক্তার (২৪),স্বামী-সোহেল রানা,২) রিয়া (২৭) সৌদি প্রবাসী রানা,৩) লাভলী (২৩), পিতা-রশিদ মিয়া, ৪) মোছাঃ পাপিয়া,স্বামী-আব্দুল গফুর,৫) আব্দুল গফুর (২৮),পিতা- অজ্ঞাত,৬)মোঃ পলাশ (৩০),পিতা-আব্দুল জব্বার।
বিবাদীগন প্রতিনিয়ত প্রবাসীদের টার্গেট করে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুর মাধ্যমে ভালোবাসা সম্পর্ক তৈরি করে ভিডিও কলে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারন করে তাদেরকে ব্লাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। বাদী বলেন গত ০৫/০৬/২০২৫ ইং তারিখে আমার বন্ধু সৌদি প্রবাসী মুনছুর আলী (৩২) এর সঙ্গে ৬ নং বিবাদীর প্ররোচনায় বিবাদীগন ভালোবাসার গড়ে তুলে আমার বন্ধুর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে, বিবাদীগনকে কয়েকবারে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করে।
গত ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখে বিবাদীগনের বাড়িতে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে বিবাদীগন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি ভয়ভীতি প্রদান করে।
পরবর্তীতে বিবাদীগন আমি ও আমার ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে। যার নং-২১/১২৫।
বিবাদীগন যে কোন সময় আরো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে আশংকা করিতেছি।
উল্লেখ্য,কুমারখালী পুটিয়া গ্রামের উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেলেও কোন অজানা কারণে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চুপ থেকে যাচ্ছে।
সবুজের লিখিত অভিযোগটি এখন কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলামের কাছে আছে বলে জানতে পারে এই প্রতিনিধি। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি বাদীকে জানিয়েছি অভিযোগের পরিবর্তে লিখিত এজাহার দিতে। লিখিত এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

Discussion about this post