Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 11:24 am

কুমারখালী পদ্মা ও গড়াই নদী বালুমহালে চলছে হরিলুট

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী পদ্মা ও গড়াই নদীর বালুনহালে চলছে হরিলুট।

সরকারের নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও সেগুলো অমান্য করে ইচ্ছেমতো বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা।

ইজারা করা বালুমহালের সরকারি সীমারেখার বাইরে গিয়ে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী ও এর আশপাশের জনপদ। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার একর জমি। বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে যৌথ বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে নদীর বিভিন্ন স্থানে ৭ থেকে ৮টি কাটার মেশিন দিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

পূর্বে বালু উত্তোলন করতো বিগত সরকারের দূর্বৃত্তরা আর ৫ আগষ্টের পর থেকে বিএনপির বাহিনী। উপজেলার শিলাদহ ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৭ টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এর নিয়ন্ত্রণ করছে ইকবাল মেম্বর।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না বালু উত্তোলন। অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বিএনপির যোগসাজশে এসব বালু উত্তোলন হচ্ছে। যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত ও অতিষ্ঠ হলেও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

এদিকে কুমারখালীর গড়াইনদীর এলোঙ্গী আচার্য্য ,চর বড়ুরিয়া,ভাড়রা শ্বশান ঘাট,চর চাঁপড়াসহ বিভিন্ন চরের বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন হানা দিয়ে জেল জরিমানা করছে। ২/১ দিন বন্ধ থাকার পরে পূণরায় শুরু হচ্ছে বালু উত্তোলন।

চর এলোঙ্গীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে বালু অপসারনের ইজারা নিয়েছে সৈকত এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ঐ প্রতিষ্ঠান বালু অপসারণের নামে ২ টি ভেক্যু দিয়ে ১০/১২ ফুট গভীর করে দৈনিক শত শত ট্রাক বালু অবৈধভাবে বিক্রি করছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়,শিলাইদ পদ্মার চর নিয়ন্ত্রণ করছে ইকবাল মেম্বর,গড়াই নদীর চর বড়ুরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রদল নেতা কান্চন ও মাহফুজ,চর চাঁপড়া সোহেল।

বালুমহালগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত সীমানার বাইরে থেকে নিজেদের খুশিমতো বালু উত্তোলন করছে ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোভাবেই অবৈধ বালু উত্তোলন থামানো যাচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোনোভাবেই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। বালু তোলার মূলহোতাদের ধরার চেষ্টা চলছে