কুষ্টিয়ার বাজারে পর্যাপ্ত জোগান থাকায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। অকারণে চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তারা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
গত এক মাসের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরা ও পাইকারি চাল বিক্রেতাদের। মিলারদের কারসাজির কারণেই মূলত চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও এসব দ্রব্যের দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যাবসায়ীদের পক্ষে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
কুষ্টিয়ার বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বাশমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৩ টাকায়, যা এক মাস আগে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা ছিল। প্রতি কেজি মিনি হাসকিন বিক্রি হচ্ছে ৬১-৬২ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ৫৭ টাকা ছিল। কাজল লতা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ৫৪ টাকা ছিল।
কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে,
প্রতি কেজি পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল। আর দুমাস আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি লাল শাকের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল।
মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল। ফুলকপি, পাতাকপি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিল। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে চালের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
খুচরা ও পাইকারি চাল বিক্রেতা মা ট্রেডার্সের মালিক মনজুরুল হক রিপন ও আব্দুল হক স্টোরের মালিক তাওহীদুল ইসলাম বলেন, এক মাসের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি বাজারে সবধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। মিল মালিকরা চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। আগামীতে নতুন ধানের চাল আসবে। এজন্য পুরাতন চালের দাম বেড়েছে। আমরা কেজিতে ২ টাকা টাকা লাভ করি। কেনে দামের উপর নির্ভর করে বিক্রি করতে হয়।
চাল ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন, সবধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বাসমতি চালের দাম। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি বাশমতি চালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৩ নভেম্বর ২০২৩

Discussion about this post