জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া শাখার বিরুদ্ধে প্রতারণা করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। চক্রটির ফিল্ড অফিসার কামরুল সমিতির সদস্য আরজিনা খাতুন নামের এক অসহায় পরিবারকে ১ লক্ষ ১০ হজার টাকা ঋণ দেওয়ার নামে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঋণের টাকা না পেয়ে বিপাকে পড়েছে অসহায় পরিবার।
সূত্র জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার খাদিমুল ইসলামের স্ত্রী আরজিনা খাতুন ওই জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর নুপুর মহিলা সমিতির একজন সদস্য।
আরজিনা খাতুন গত ২৩ জন ২০২২ সালে গরু কেনার জন্য চরা সুদে ৫০ হাজার টাকা দুই বছর মেয়াদে ঋণ গ্রহণ করেন ওই সমিতি থেকে। এরই মধ্যে গত এপ্রিল মাসে ওই সমিতির ফিল্ড অফিসার কামরুল আরজিনার স্বামী খাদেমুল ইসলামকে প্রস্তাব দেন।
পূর্বের ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করে দিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা ঈদ খরচ দিলেই নতুন করে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া সম্ভব। সে আরোও জানায়, ঈদের পূর্বেই এই ঋণের টাকা দেওয়া যাবে। এ প্রস্তাবে খাদেমুল বিভিন্ন জনের নিকট থেকে লাভের উপর টাকা ঋণ নিয়ে ওই সমিতির সকল টাকা পরিশোধ করে দেন। তিনি ১৪ মাস পূর্বেই এ টাকা পরিশোধ করেন শুধুমাত্র বেশি অংকের লোন পাওয়ার আশায়। এছাড়াও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমানকে খুশি করার উদ্দেশ্যে ১০ হাজার টাকা দেন ওই ফিল্ড অফিসার কামরুলকে।
এদিকে সকল টাকা পরিশোধ করার পর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন করে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা ঋণ না দিয়ে জাগরণী চক্র বিভিন্নভাবে তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট অভিযোগ দেওয়া হলে তিনি ঈদের পর ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ঈদের পর গত শনিবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঋণ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এদিকে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে লাভের উপর টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই অসহায় পরিবার।
আমরা সাধারণত জানি এনজিও সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক উন্নতির সহায়তা এবং মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে এ সকল সংস্থাকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে আমরা জেনে থাকি। এ সংস্থাগুলো সমাজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছাসেবী সমিতি, সেবামূলক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করলেও এর অন্তরালে রয়েছে রাঘব বোয়াল।
অসহায় গরীবদের রক্ত চুষে খাওয়াই এদের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। এ সকল প্রতিষ্ঠানের কারণে অসংখ্য পরিবার আজ পথের ভিখারী হয়ে পথে বসে গেছে। অনেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার ও অনেক নজির রয়েছে।
তাই সাধারণ মানুষ মনে করেন এ জাতীয় সুদের ব্যবসার কারবারিদের অচিরেই বন্ধ করে দেওয়া হোক।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২ মে ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post