এনামুল হক কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় রফিকুল্লাহ কালবি নাম স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর’র সহকারী সম্পাদক শহররে কাের্টপাড়া থেকে উঠিয়ে এনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব আটকে রেখে হত্যার উদ্দশ্য বেদম মারধরের অভিযাগ উঠেছে।
গত ০৬ অক্টােবর রাত ৮টায় নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক এখন ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতাল অস্ত্রপাচার শেষে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ।
এঘটনায় ৪ জনের নামাল্লখেসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে জােরপূর্বক অপহরণ করে আটক রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযাগ এনে মামলা করেছন ভুক্তভাগী সাংবাদিক কালবির স্ত্রী সারাবান তহুরা।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বাদি জানিয়েছেন গুরুতর রক্তাক্ত জখম সাংবাদিক কালবি’র পেটের মধ্যে পাকস্থলী ফেটে যাওয়াসহ নাভি এবং নাড়ি ছিড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
বাদির অভিযােগ, এমন জীবন সংকটাপন্ন গুরুতর জখমকে সাধারণ আহত বলে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীত উল্লখেসহ এঘটনায় জড়িতদর গ্রেফতার না করে নানা তালবাহানা করছেন পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদ বৃহস্পতিবার দুপুর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ভবন চত্বর সর্বস্তরের সাংবাদিক মহলের ব্যানার মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, অবিলম্ব সাংবাদিক কালবিকে নির্যাতনর বিচার এবং জড়িতদর গ্রেফতার করে প্রশাসনকই প্রমান দিত হবে যে আসামীদের সাথে প্রশাসনের কােন সখ্যতা নেই। ‘কিছু লেবাসধারী ও প্রেসকার্ডধারী কথিত সাংবাদিক সাংবাদিকতার আড়াল একটি দূর্বত্তায়ন চক্র গড়ে তুলেছে। তারা কার্যত: মাদক ব্যবসার পার্সেন্টেজ নেয়া, জিম্মি কর মুক্তিপন আদায়, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়ছে। এসব অপরাধ কর্মকান্ডকে নির্বিঘ্ন করতেই তারা সাংবাদিক কালবিকে ধরে এনে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে।
তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ ইতিমধ্যে ঘটনার সত্যতা ও দায় স্বীকার করে কুষ্টিয়া প্রসক্লাবর সাধারণ সম্পাদক আবু মুনি জুবায়দ রিপন তার ফেসবুক আইডিতে পদত্যাগের ঘােষণ দিয়েছেন।
এই ঘটনায় পুলিশর প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকার বিষয় জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হােসেন অভিযাগ নাকচ করে জানান, ‘এঘটনায় মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে, সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের কাজ চলছে। এজাহার নামীয় আসামিদের সেল নং বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ’। তবে জড়িতদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে’।
স্মারকলিপি গ্রহন কালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মােহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিকতা দেশ ও মানুষর একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। সেখান এজাতীয় ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হবে এটা বলতেও লজ্জা লাগে। ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটার একটা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রটকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপাের্ট পেলেই এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে’।

Discussion about this post