কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আলেক আলী (৪৫) নামে একজনকে আমৃত্যু ও ভাসুররে ৭ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। স্বামী আল্লেক আলীকে কারাভোগসহ আরও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ধার্য করা হয় এবং ভাসুর মনা মিয়াকেও ২০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম রায় ঘোষনাকালে দন্ডপ্রাপ্ত ভাসুর মনা মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত স্বামী আল্লেক আলী পলাতক ছিলেন বলে জানান, রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় হলো- ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের বাসিন্দা সোনা উলাহর ছেলে আল্লেক আলী(৪৭) ও মনা মিয়া (৫২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০জুন সকালে মিরপুর উপজেলার লক্ষিধরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মসলেম উদ্দিনের কন্যা নিহত হাফিজা খাতুন (২০) তার স্বামী বাড়ির নিটস্থ পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তাকে ওই পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা মিরপুর উপজেলার মোশারফপুর গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে আসমত আলী নিহতের স্বামীসহ ৬জনের নামোল্লেখসহ ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল নিহতের স্বামীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এমামলার আসামীরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিত ভাবে গৃহবধু হাফিজাকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে পুকুরের পানিতে লাশ ফেলে রাখে আসামীরা। গৃহবধু হত্যার মামলাটি স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে নিহতের স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় স্বামীকে আমৃত্যু এবং ভাসুরকে ৭ বছর কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত’।
খালিদ সাইফুল,দৈনিক দেশতথ্য ,১৯ মার্চ ২০২৩