দৌলতপুর প্রতিনিধি: বিএনপি’র এক পদ নিয়ে বিভ্রান্তিতে দুই মুক্তিযোদ্ধা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ নিয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা।
গত পহেলা জানুয়ারি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হলে, কমিটিতে থাকা ২৯ নম্বর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন নামে প্রকাশিত পদের দাবিদার হোন দু’জন। যাদের দু’জনেই ‘৭১ -এর সনদ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
সদস্য পদের দাবিদার একজন হলেন, দৌলতপুরের রিফায়েতপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের ইয়াছিন মালিথার ছেলে বিএনপি নেতা রিয়াজ উদ্দীন। আরেকজন একই ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের জিন্নাত আলী মন্ডলের ছেলে বিএনপি নেতা রেজাউল হক। তারা উভয়েই মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থানীয় নেতা।
প্রকাশিত পত্রে আসা নাম ‘ বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন’ – এর সাথে রেজাউল হকের জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের মিল না থাকায় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির বিষয়ে রেজাউল হক দাবি করেন, আমার সবধরনের নথিপত্রে নাম ‘রেজাউল হক’ থাকলেও আমাকে সবাই রিয়াজ নেতা বা রিয়াজ নামে চিনে, রিয়াজ আমার ডাক নাম। ওখানে নাম ভুল এসেছে, নেতাদের বলার ভুলে বা লেখকের লেখার ভুলে।
অন্যদিকে রিয়াজ উদ্দীনের দাবি, জেলা আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার সাক্ষরিত পত্রে ২৯ নম্বর সদস্য হিসাবে আমাকে রাখা হয়েছে এবং নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি এটা আমার-ই নাম।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল জানান, এটা সংগঠনের দাপ্তরিক বিষয়, কাছাকাছি নামে অনেক মানুষ থাকতে পারে।
আগামি মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি অফিসিয়াল বৈঠক, বৈঠকেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা খুবই স্বল্প সময়ের একটা কমিটি, এ নিয়ে কারো মন খারাপের কারণ নেই।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা জানান, এখানে লেখার ভুল হয়েছে, রিয়াজ উদ্দিন নামটি ভুল লেখা হয়েছে। বিভ্রান্তির কারণ নেই, শিগগিরই বিষয়টি সকলের কাছে পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত কমিটিতে ২৯ নম্বরে থাকা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন’ নামটির সাথে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দীন’ কিংবা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক’ কোনটিরই মিল পাওয়া যায়নি।

Discussion about this post