(আনোয়ার আলী টানা ১৫ বছর কুষ্টিয়ার মেয়র। ছেলে সদর এমপির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন)
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীসহ তার পরিবারের চারজনের স্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এই চিঠি পৌঁছেছে।
দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল জানান, সব প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়ার পর মেয়রসহ তার পরিবারের চার সদস্যের কাছে তাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, মেয়র আনোয়ার আলী বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র। তার ছেলে পারভেজ আনোয়ার এক সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতি করেছেন। বর্তমানে কোনো পদে নেই। তিনি গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া ৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের লড়ে ৪০ হাজার ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুলাইয়ে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, তার স্ত্রী আকতার জাহান, ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু ও ছেলের স্ত্রী নোশিন শারমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসে। তাদের বিরুদ্ধে পৌরসভার আদায় করা অর্থ উন্নয়নকাজে ব্যবহার না করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় অভিযোগের অনুসন্ধান করতে নীল কমলকে কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
১ এপ্রিল ওই কর্মকর্তা ওই ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছেন। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের নামে কোনো জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, দোকান বা কোনো স্থাপনা বরাদ্দ বা কী পরিমাণ টাকা রয়েছে, তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্যের রেকর্ডপত্রের মূল কপির সত্যায়িত ছায়ালিপি চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
শিয়াক মহাম্মদ //দৈনিক দেশতথ্য//৪ এপ্রিল ২০২৪//

Discussion about this post