নিজস্ব প্রতিবেদক: আখ মাড়াই স্থগিতের ঘোষিত নামে বন্ধ কুষ্টিয়া চিনিকল আধুনিকায়ন করে আখ মাড়াই শুরুর দাবীতে গঠিত “কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটি”র আহবানে গতকাল ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় গণফ্রণ্ট, কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে এক সংহতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটির আহবায়ক শ্রমিকনেতা রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য সচিব আবু মনি সাকলায়েন এলিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সংহতি ও মত বিনিময় সভার শুরুতেই কুষ্টিয়া চিনিকল রক্ষা ও আখ মাড়াই চালুর দাবির প্রেক্ষিত ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
কুষ্টিয়া চিনিকল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবর্গের উত্থাপিত তথ্যমুলোক বক্তব্য শুনে এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও তাদের শ্রমিক সংগঠন। উপস্থিত ব্যক্তি বর্গের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লেনিন মৃ্ত্যু শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি কুষ্টিয়া আহবায়ক, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নুর উদদীন আহমেদ, বাংলাদেশ লেখক শিবির কুষ্টিয়া জেলা সাধারন সম্পাদক জালাল উদ্দিন, বাসদ নেতা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক নেতা আশরাফুল ইসলাম, আইনজীবী বাসদ নেতা শাহিনুর রহমান, জেলা সিপিবি সাধারন সম্পাদক ম.হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক নেতা মকসুদ মনি, জাতীয় গণফ্রণ্ট জেলা সমন্বয়ক সত্য বিশ্বাস ও জাতীয় গণফ্রণ্টের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রমিকনেতা মকলেচুর রহমান দুলাল। বক্তারা বলেন, বর্তমানে যে হারে চিনির দাম বেড়েছে এতে সরকার যদি মিলটির আখ মাড়াই পুনরায় চালু করে তবে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে এই মিল থেকে। কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন বক্তারা। সেই সাথে এ আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য কি কি করণীয় সেই সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। এবং এই আন্দোলনের সাথে একত্বতা ঘোষণা করেন। সেই সাথে উক্ত সংহতি মতবিনিময় সভায় আলোচনায় চিনিকল অধ্যুষিত জনপদে জনসংযোগ, সমাবেশ, মানববন্ধন সহ নানামুখী ধারাবাহিক কর্মসুচি গ্রহন করা হয়।
উক্ত সংহতি ও মত বিনিময় সভাটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়া চিনিকল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২১৬ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া সুগার মিল। ১৯৬১ সালে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া শহর থেকে জগতি এলাকায় কুষ্টিয়া সুগার মিল এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উৎপাদন শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে চিনিকলটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু আকর্ষিক মিলটির আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসের মুখে রয়েছে যন্তাংশ সহ বিভিন্ন ধরনের সম্পদ। তবে সরকারি নির্দেশনা পেলে আবারও মিলটির কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে বলে জানায় কুষ্টিয়া সুগার মিলের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post