কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানে বৈষম্য ও অন্যায়ের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে মজমপুর গেট থেকে এই অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে মজমপুর গেট থেকে থানা মোড় পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি দোকানের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয়। উচ্ছেদ করা হয় ছোট বড় ফুটপাতের দোকানপাঠ।
এতে ম্যাজিস্ট্রেসি সহযোগিতা দেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রিফাতুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সেনা সদস্যরাও।
এ সময় এনএস রোডের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সাইনবোর্ডের স্কয়ার ফিট প্রতি ১৫০ টাকা ভাড়া নেয় পৌরসভা। তার ওপর বেনার নোটিশে সাইনবোর্ড ভাঙা চরম অন্যায় হয়েছে।
লিয়াকত আলী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও কাবাব স্টেশনের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন বলেন, আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে পৌরসভা ঘেরাও করব, প্রয়োজনে মামলা করব। ভাড়া নেওয়ার পর কোন অবস্থাতেই তারা সাইনবোর্ড ভাঙতে পারে না।
সেলিম বেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রাসেল পারভেজ বলেন, পূর্বনোটিশ ছাড়াই আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে পৌরসভায় যাই তারা সাইনবোর্ডের ভাড়া আলাদাভাবে নিয়ে নেন। তাহলে এগুলোতো অবৈধ নয়। আর যদি ভাঙ্গাও হয়, সেক্ষেত্রে সবারটাই ভাঙ্গা উচিত ছিল। এখানে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোন শোরুমের সাইনবোর্ড কিন্তু ভাঙ্গা হয়নি। এটা বৈষম্য ছাড়া আর কিছু নাই।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, অভিযানটি মূলত পৌরসভার। আমরা এখানে ম্যাজিস্ট্রেসি সহযোগিতা দিচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার পৌর কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, সব ব্যবসায়ের কাছ থেকে সাইনবোর্ডের ভাড়া নেওয়া হয় না। আর তাছাড়া সাইনবোর্ড যেখানে স্থাপন করার কথা ছিল সেখানে না করায় সেগুলো ভাঙা হয়েছে।
বিনানোটিশে ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কয়েকদিন ধরে মাইকিং করা হয়েছে। তাই বাড়তি করে নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post