১৬ মার্চ রবিবার সকালে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), কুষ্টিয়া আয়োজনে নগরীর পাঁচ রাস্তার মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুষ্টিয়া সনাক সভাপতি আসমা আনসারী মীরুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শাহাজাহান আলী, সদস্য মোঃ রফিকুল আলম, অশোক সাহা, হালিমা খাতুন, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী অমরেশ চন্দ্র দাস, এফপিএবি’র জেলা কর্মকর্তা কায়সার আলী সৈকত, ইয়েস প্রতিনিধি প্রিয়তা আক্তার।
মানববন্ধনে অশোক সাহা বলেন, আমাদের সন্তানদের রক্ষায় দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
হালিমা খাতুন বলেন, এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য কাম্য নয়। বর্তমান সরকারকে দৃষ্টান্ত স্থাপনে আরও সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
রফিকুল আলম বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কায়সার আলী সৈকত বলেন, আমাদের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এনজিও ও সুশীল সমাজকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। শাহাজাহান আলী বলেন, ধর্ষকদের শাস্তি প্রদানে কোন ছাড় হবে না।
মানববন্ধন থেকে সজাগ হয়ে সকল অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে। টিআইবি’র ধারণাপত্র পাঠ করেন ইয়েস সদস্য শাশ্বত মাসরুর।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও “নতুন বাংলাদেশ”- এর মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সব ধরনের যৌন নির্যাতন, সহিংসতা ও বৈষম্য প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি অপরাধের শিকার পরিবারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা, সকল ক্ষেত্রে ও পর্যায়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার ও বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ ১১টি দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আসমা আনসারী মীরু বলেন, আমরা দু:স্বপ্নেও ভাবিনি নারী না হওয়া শিশুও ধর্ষণের শিকার হয়। শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল পেশায় নারীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। যতই নির্যাতন করা হোক না কেন নারীর অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবেন না।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সনাক প্রতিনিধি খোন্দকার আমানুল্লাহ, জহুরুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, সুভাশীষ সাহা, তারিক ইবনে আমিন, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ রায়হানুল ইসলাম, মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি শাহিনুর বেগম, সেতু’র প্রতিনিধি মিজানুর রহমানসহ টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সার্পোট (ইয়েস) ও অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি)’র সদস্যবৃন্দ।

Discussion about this post