নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের পিরিয়ডিক সময়ে তাৎক্ষনিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রিয় ক্যাম্পাস চত্বরে হাতের নাগালে সেনেটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করতে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
সোমাবার দুপুরে কুষ্টিয়া সরকাররী কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির কুমার রায়ের সভাপত্বি অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মশালা হয়।
পরে শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস চত্বরে সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানী (এসএমসি)র সৌজন্যে সরবরাহকৃত আধুনিক প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় এই ভেন্ডিং মেশিনটি স্থাপন করে তা সকল নারী শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করে উদ্বোধন করেন কলেজ অধ্যক্ষ। এসময় সেখানে ছাত্রীনিবাসের কয়েক’শ শিক্ষার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস খানসহ হোস্টেল সুপার ও বিভাগীয় প্রধানগণ, এসএমসি’র আ লিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, টেকনোলজি এক্সপার্ট ইঞ্জিনিয়ার রেজোয়ান আহমেদ নুরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মশালায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত সেনেটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুফল এবং অনিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহারের কুফল তুলে ধরেন কুষিটয়া মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ডা. মুনিরা খানম।
শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থী সুরভী শারমিন বলেন, ‘সত্যিই আমাদের মতো নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্মত পিরিয়ডকালিন সময় পার করতে অধ্যক্ষ স্যার যে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলেন তার আমাদের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে। এর সাথে যারা শ্রম ও অর্থব্যয় করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’।
ছাত্রীনিবাসের মধ্যে স্থাপিত ভেন্ডর মেশিন থেকে কিভাবে সহজে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে মেশিনের উপর নির্দেশিত কিউ কোড ব্যবহার করে কাঙ্খিত কোয়ালিটি, ধরণ ও সংখ্যাগত নির্দেশনা মেনে সেনেটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করা যাবে সেবিষয়ে প্রাকটিক্যালি হাতে কলমে দেখিয়ে দেন ভার্টিকেল ইনোভেশনের সিইও রেজোয়ান আহমেদ নুর। তিনি বলেন, কারো প্রয়োজন মতে, একটি থেকে শুরু করে ৪টি বা ৮টির প্যাকেট অথবা বেল্টসহ বা সুবিধাজনক প্যাকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। এসএমসির সহযোগিতায় ভার্টিকেল ইনোভেশনের সরবরাহকৃত ভেন্ডিং মেশিনটি সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে মনিটরিংয়ে থাকবে। এতে মেশিনে রক্ষিত প্যাডগুলি শেষ হবার পূর্বেই কর্তৃপক্ষ টেরপাবে এবং পূনরায় রিফিলের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এতে ষ্টোরেজ শুন্যতায় সুবিধাভোগীরা কোন ভোগান্তির শিকার হবেন না’।
এসএমসি’র আ লিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ও এডুকেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীদের পিরিয়ডকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে, এটি কার্যত: একটি সামাজিক উদ্যোগ’।এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুস্থ্যতার মাধ্যমে বিকশিত হবে এটাই হব্ েএই উদ্যেগের সফলতা’।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির কুমার রায় বলেন, ‘একটা সুস্থ্য জাতি বিনির্মানের গুরুত্বপূর্ন ভিত্তি হলো সুস্থ্য মা। কেবলমাত্র সুস্থ্য মা সুস্থ্য শিশু জন্মদিয়ে দেশকে একট সুস্থ্য জাতি উপহার দেবে।
একজন শিক্ষক বা পিতৃতুল্য অভিভাবক হিসেবে এই উপলব্ধি থেকে বেশকিছুদিন ধরেই এমন একটা উদ্্েযাগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম। ঠিক আমার এই উপলব্ধির প্রতি সম্মান জানিয়ে এসএমসি সহযোগিতার আজকের উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এজন্য এসএমসি’র প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে সমগ্র দেশের সরকারী কলেজ পর্যায়ে কুষ্টিয়াতে সর্বপ্রথম ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করে যে সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা হবে তারাও যেনো আগামীতে দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বোধ থেকে কাজ করতে পারেন সেই আহবান রাখছি’।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৬ মে ২০২৪

Discussion about this post