কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তাতিপাড়া বছরের দশ মাসই পানির সাথে বসবাস করছে এখানকার মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। নিমজ্জিত হয় ওয়ার্ড। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার না থাকায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর যাবৎ তারা জলাবদ্ধতাজনিত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কেউ আবার এদুর্ভোগ সয়ে বেড়াচ্ছে দশ থেকে চৌদ্দ বছর ধরে।
শুধু ৪নং ওয়ার্ডই নয়, পানির সাথে বসবাস করেন পাশের গ্রামের মানুষ প্রায় ৬০ টি পরিবার ও ৫ নং ওয়ার্ডের ২৫ থেকে ৩০ টি পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু কারখানার কারেনে এমন পানি বন্ধি হয়ে থাকতে হয়। এটি কোনো হাওড় বা বাওড় নয়, নয় কোনো জলশয় এটি একটি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তাতিপাড়া গ্রাম, মাসের দশ মাস থাকে পানি বদ্ধ, এখানে বসবাস করেন ছয়শত পরিবার, চারিদিকে থৈথৈ পানি।
যতদুর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটা হাটু পানির নিচে। বাসাবাড়িতেও হাটু পানি। রান্নাঘর, গোয়ালঘর, টিউবওয়েল, বার্থরুম গুলো পানিতে প্লাবিত। ছেলেরা পরনের কাপড় উচু করে চলাচল করলেও মেয়েদের অবস্থা খুবই করুন।শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা আছেন গৃহবন্দী।দৈনন্দিনের নিত্য প্রয়োজনসহ ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। প্রায় দশ বছর ধরে পানির সাথে তাদের বসবাস। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ডুবে যায় হাটু পানির নিচে।
বসতবাড়িতে বছরের প্রায় দশমাস জমে থাকে পানি। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারেনা। ঘরের মধ্যেও জমে পানি।
অন্যদিকে ফসলী জমিতে পানি বদ্ধ হওয়ার কারেনে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছরই ঘরবাড়ি মেরামত করে উচু করেও কোনভাবেই পানি ঠেকানো যাচ্ছেনা।চরমে দুর্ভোগে আছে এখানকার মানুষ।ড্রেনের মুখ গুলো বেশ কয়েকটা স্থানীয় কারখানা কতৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে যার ফলে পানি বের হতে না পেরে এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানী জনপ্রতিনিধি বলছেন বিষয়টি আমার নজরে তবে স্থানীয় কারখানার কতৃপক্ষ কে অনেকবার জানানোর পরেও কোনো বিষয়টি আমলে নেইনি। কারখানা কতৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এলাকবাসী জানান দ্রত এই পানি নিস্কাষণ না হলে, দিন দিন মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে, তাই এর স্থায়ী সমাধান চাই এলাকার মানুষ।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৯ অক্টোবর ২০২৩

Discussion about this post