নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও এক ইসলামীক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সাথে মাদরাসা ছাত্রদের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে মাদ্রাসার সকল ছাত্রদের নিয়ে কেরাত, আযান, ইসলামী সংগীতসহ প্রশিক্ষণ মূলক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রধান বক্তা ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসানুল হক হাসান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিটির সহ-সভাপতি ও দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোমেছুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহ্তিমাম ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোঃ হাবীবুল্লাহ ফারূকী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি হাবীবুর রহমান, হাফেজ মোঃ মাহামুদ হাসান ও ক্বারী হাবীবুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবু আফফান। বিভিন্ন অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসানুল হক হাসান ও বিশেষ অতিথি মোঃ মোমেছুর রহমান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোঃ হাবীবুল্লাহ ফারূকী । সকল অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোঃ হাবীবুল্লাহ ফারূকী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনকের রক্তের অঙ্গিকার বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে আসুন, ৫২’র ধারাবাহিকতায় এই দেশের মহান পুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে ছিলেন। তিনি সকল ছাত্রদের উদ্দ্যেশে বলেন, সকলকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি মাদকমুক্ত, দুর্ণিতী মুক্ত, আইনের শাসন সম্বলিত একটি শিক্ষা বান্ধব সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে লেখাপড়া শেষ করে বিভিন্ন পেশায় থেকে জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জাতির সকল সংকট মোকাবেলা করে জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্য ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এ দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ একটি পরিকল্পিত সুন্দর সমাজ ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে এ জাতি বীরের জাতি। এই জাতির অহংকার করার মতো অনেকগুলি অর্জন আছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভূর্থান, ৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষন ও ৭১ সালের রক্তক্ষয়ী ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন, ১৯৯০ সালের শৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এ সব কিছুই জতির অহংকার। এ সকল অর্জন গুলোকে বুকে ধারন করে জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

Discussion about this post