নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে নৌকা বনাম ঠেকাও নৌকা গ্রুপের মধ্যে। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বিএনপি জামাত এর কোন প্রার্থী না থাকলেও বিদ্রোহী সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিএনপি জামাত নেতাদের যোগসাজসে নৌকা বনাম ঠেকাও নৌকা খেলায় মেতে উঠেছে। জেলা ও সদর থানা আওয়ামীলীগের নেতারা বিদ্রোহী সতন্ত্র প্রার্থীদের বহিস্কার আদেশের মধ্যে সিমাবদ্ধ রেখেছেন। যেকারনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা একজোট হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছে। বটতৈল ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী একত্রিত হয়ে নৌকার মনোনিত প্রার্থী মোমিন মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পসহ তার ব্যাক্তিগত অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দোস্তপাড়ার শতাধিক চালকলে ভাংচুর করে নিজেদের শক্তির মহড়া দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু ফকির তার লোকবল নিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর অফিস ভাংচুর করে মোমিন মন্ডলের সমর্থকদের উপর হামলা চালালে কয়েকজন নৌকার সমর্থক মারাত্বক জখম হয় এসময় মোমিন মন্ডলের সমর্থকেরা হামলাকারীদের প্রতিহত করলে বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু ফকির আহত হয়ে চিকিঃসাধীন রয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম পুলিশ বাহীনিকে নিয়ে প্রতিহত করলে পুলিশের সাথে মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের রুখতে পুলিশ বাহীনিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নসহ টিয়ারসেল ও গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে হয়। এসময় মিন্টু ফকির এর সমর্থকদের ইটপাটকেল এর আঘাতে চার পুলিশ সদস্য মারাত্বক ভাবে জখম হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে যেন কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে, পুলিশের পক্ষথেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ মোমিন মন্ডল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি আমাকে বটতৈল ইউনিয়নের মানুষের সেবা করতে পূনরায় দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি এলাকার মানুষের সেবায় অতিতের ন্যায় পূনরায় নির্বাচিত হতে ভোটের মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত নেতারা বিদ্রোহী ও সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামাত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঠেকাও নৌকা নীতি অবলম্বন করছে। আওয়ামীলীগের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে এই সকল বহিস্কৃত নেতারা আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে একজোট হয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখতে চাই যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা দলের শত্রু তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আগামীতে তৃনমুলে এই ধরনের অপকর্ম করতে আরো অনেকে উৎসাহিত হবে। তাই এখনই তাদের দমন করতে হবে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একাধিক বিদ্রোহী ও সতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ব্যাপক ভরাডুবি ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দলীয় প্রতীক পাওয়া চেয়ারম্যান র্প্রার্থীরা। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের বিপক্ষে সরাসরি মাঠে নেমেছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে ঠেকাও নৌকা গ্রুপ। দলীয় চেয়ারম্যানদের জেতাতে আওয়ামীলীগ নেতারা সমন্বিত ভাবে কাজ করার বিকল্প নেই বলে মনে করেন আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকেরা।

Discussion about this post