কেএনএফের উদ্দেশ্য কি, টাকা অস্ত্র পায় কোথা থেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সংক্ষেপে ‘কেএনএফ’ নামে পরিচিত। তাদের বিচরণ রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বান্দরবানের উপকণ্ঠ থেকে চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো অঞ্চল হয়ে রুমা রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা ও আলীকদম।
তারা এই ৯টি উপজেলা নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি পৃথক রাজ্য চায়। তাদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পৃথক পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের উত্থানের পেছনে রয়েছে সেখানকার বম সম্প্রদায়। আর সেই বম সম্প্রদায়ের নেতার নাম নাথান বম। সে এনজিও’র নামে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং শেল্টার দেওয়ার জন্য নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।
কে এই নাথান বম?
কেএনএফের সভাপতি নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিপিসি) এর ঢাকা মহানগর শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। খাগড়াছড়ির তেরাঙ্গি স্কয়ারের পাশে এম এন লারমার ভাস্কর্যটির অন্যতম কারিগর তিনি। কুকি চিন জাতীয় ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন নামে একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি। এছাড়া কুকি চিনভুক্ত জাতি গোষ্ঠীর পরিচিতি নিয়ে ‘দ্য বমজৌ’ বইসহ ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। বম সম্প্রদায় থেকে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২০০৮ সালে কেএনএফ-এর জন্ম। ২০১৬ সালে তারা সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে। শুরুতে এর নাম ছিল কুকি চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স কেএনভি। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে ভারতের মনিপুর ও বার্মার ‘চীন রাজ্যের’ সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
প্রাপ্ত সূত্র জানিয়েছে, কেএনডিও এনজিও’র আড়ালে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন নাথান। এছাড়া পাশের দেশ ভারতের মিজোরাম এবং মিয়ানমার থেকে তাদের কাছে অস্ত্র আসে। সেই অস্ত্র চড়া দামে পাহাড়ে অবস্থান করা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের কাছে বিক্রি করতো। এছাড়া এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং থাকা খাওয়া বাবদ ২০২১ সালের শুরু থেকে মাসিক হারে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছে কেএনএফের সদস্যরা।
শিয়াক মহাম্মদ //দৈনিক দেশতথ্য//৪ এপ্রিল ২০২৪//
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সংক্ষেপে ‘কেএনএফ’ নামে পরিচিত। তাদের বিচরণ রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বান্দরবানের উপকণ্ঠ থেকে চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো অঞ্চল হয়ে রুমা রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা ও আলীকদম।
তারা এই ৯টি উপজেলা নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি পৃথক রাজ্য চায়। তাদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পৃথক পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের উত্থানের পেছনে রয়েছে সেখানকার বম সম্প্রদায়। আর সেই বম সম্প্রদায়ের নেতার নাম নাথান বম। সে এনজিও’র নামে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং শেল্টার দেওয়ার জন্য নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।
কে এই নাথান বম?
কেএনএফের সভাপতি নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিপিসি) এর ঢাকা মহানগর শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। খাগড়াছড়ির তেরাঙ্গি স্কয়ারের পাশে এম এন লারমার ভাস্কর্যটির অন্যতম কারিগর তিনি। কুকি চিন জাতীয় ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন নামে একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি। এছাড়া কুকি চিনভুক্ত জাতি গোষ্ঠীর পরিচিতি নিয়ে ‘দ্য বমজৌ’ বইসহ ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। বম সম্প্রদায় থেকে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২০০৮ সালে কেএনএফ-এর জন্ম। ২০১৬ সালে তারা সশস্ত্র গ্রুপ তৈরি করে। শুরুতে এর নাম ছিল কুকি চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স কেএনভি। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে ভারতের মনিপুর ও বার্মার ‘চীন রাজ্যের’ সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
প্রাপ্ত সূত্র জানিয়েছে, কেএনডিও এনজিও’র আড়ালে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন নাথান। এছাড়া পাশের দেশ ভারতের মিজোরাম এবং মিয়ানমার থেকে তাদের কাছে অস্ত্র আসে। সেই অস্ত্র চড়া দামে পাহাড়ে অবস্থান করা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের কাছে বিক্রি করতো। এছাড়া এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং থাকা খাওয়া বাবদ ২০২১ সালের শুরু থেকে মাসিক হারে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছে কেএনএফের সদস্যরা।
শিয়াক মহাম্মদ //দৈনিক দেশতথ্য//৪ এপ্রিল ২০২৪//

Discussion about this post