টিনের ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছিল সাথী বাড়ৈ (২৪) নামে এক গৃহবধুর লাশ। পাশেই মাটিতে পড়ে ছিল তারই ৬মাসের কন্যা শিশুর লাশ। নিজ সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।
গতকাল রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গৃহবধু সাথী বাড়ৈ উপজেলার পিড়ারবাড়ি গ্রামের রসময় বাড়ৈর স্ত্রী ও রামনগর গ্রামের রনজিৎ বল্লভের মেয়ে।
জানাগেছে, ছয় বছর আগে সাথী বাড়ৈর সাথে পিড়ারবাড়ি গ্রামের দিনমজুর রসময় বাড়ৈর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর সাথী বাড়ৈ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এর কিছু দিন পর সাথী বাড়ৈ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে রামনগরে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। গত ছয় মাস আগে সাথী বাড়ৈ বাবার বাড়িতে বসে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
ঘটনারদিন দুপুরে বাবার বাড়ির অন্যন্যা সদস্যরা পাশ্ববর্তী রামনগর বিলে পাট তুলতে যায়। তারা বাড়ি ফিরে এসে ঘরের আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সাথী বাড়ৈকে দেখতে পায়। পাশেই পড়ে ছিল অনুশকা বাড়ৈ নামে সাথী বাড়ৈর ৬মাসের কন্যা শিশুর লাশ।
প্রতিবেশী মনিময় বল্লভ ও জানকি হালদার বলেন, সাথী বাড়ৈ মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল। সে প্রায়ই এলোমেল ভাবে চলাফেরা করতো। আমাদের ধারনা সাথী বাড়ৈ তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।
ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আলাদা আলাদা ভাবে দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ৩০,২০২৩//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post