এস এ শফি, সিলেট : আর মাত্র তিনদিন পরেই মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেট জুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার সবকটি বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাটগুলো। হাটগুলো ক্রেতাদের পদ চারণায় সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে, দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করবেন বলে বলে মনে করছেন হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটের বৃহত্তম গরুর হাট কাজির বাজার। এ পশুর হাটে ঘুরে কথা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। লোক সমাগম অনেক হলেও বেচা বিক্রি জমে উঠেনি বলে জানালেন একাধিক বিক্রেতা। ঈদ যত কাছে আসছে পশুর হাটের ভিড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশি ভিড় বাড়বে এবং রাতব্যাপী পর্যন্ত বেচা কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ।
ক্রেতাদের দাবি, এবার গরুর দাম আকাশচুম্বী। এমন দামে গরু কেনা অনেক কষ্টসাধ্য হবে শেষ পর্যন্ত। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পশুর খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেশি৷ তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মেজরটিলার বাসিন্দা ইসরাক আলী প্রতিবছরের মত এবারও এসেছেন কাজীরবাজারে, উদ্দেশ্য- কোরবানীর জন্য পছন্দের গরু কেনা। তিনি বলেন, বাজারে তেমন একটা গরু নেই, বাজার বার হলে গরু বেশি থাকতো। আসছি গরু কিনতে, দেখতে তো আসেনি। দেখি পছন্দের গরু পাই কি না।
জিন্দাবাজারের বাসিন্দা আহমদ হোসাইন বলেন, প্রতিবছর বাবা এসে গরু কিনতেন। এ বছর নিজে এসে দায়িত্ব নিয়ে বাজারে এসে ঘাম ঝরিয়ে ফেলেছেন রীতিমতো। পছন্দসই গরুর দাম দেখে বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। গরুর অতিরিক্ত দাম দেখে তিনি পছন্দের গরু কিনতে পারছেন না। তবে আশা করছেন একটু কষ্ট করে বাজার ঘুরলে হয়তো কাঙ্খিত গরু পেতেও পারেন৷
বাগবাড়ীর এলাকার আনিসুর রহমান বেশ কয়েকদিন যাবত ঘুরছেন বাজারে, কিন্তু দরদামে না হওয়ায় এখনো কাঙ্খিত গরু কিনতে পারেননি। তার দাবি, গরুর দাম একটু কম হলে তিনি তার পছন্দসই গরু কিনতে পারবেন।
কাজিরবাজারে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।। এছাড়া সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম রয়েছে পুরো বাজারজুড়ে৷
কাজির বাজারের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন জানান, বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে বেচা-কেনার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। যদি রাস্তাঘাটে গরু আসতে কোন বাধা না হয় তাহলে বেচাকেনা ভালই হবে এবার। এবং সে ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি প্রত্যাশা করেন তিনি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৩ জুন২০২৪
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post