খুলনায় সৈকত (১৪) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার(২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আন্দির পুকুর ঘাট এলাকা থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত সৈকত ওই এলাকার বকুল বাগান গলিস্থ নুর ইসলামের ছেলে। পুলিশ ও তার স্বজনরা জানান সৈকত নামের ওই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল ।
পুলিশ ও সৈকতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে সে খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও সে বাড়িতে না ফেরায় আশ-পাশের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে তাকে না পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। পরে তাকে না পেয়ে সৈকত নামের ওই কিশোরের বাবা-মা তার নিখোঁজের বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানাকে অবগত করেন।
এর পর সৈকতের পরিবারের পাশাপাশি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশও বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করতে থাকলে ওইদিন রাত দেড়টার দিকে নগরীর আন্দির পুকুরঘাট এলাকায় এক কিশোরের লাশ পাওয়া গেছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক রাত দেড়টার দিকে তার রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করে লাশের সুরাতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকতের বাবা মো: নাহিদ মৃধার বরাত দিয়ে জানান, সৈকত মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। মাঝেমধ্যে শরীরে কাপুনি (মৃগি রোগ) দেখা দিত। ধারণা করা হচ্ছে হঠাৎ তার ওই রোগ শুরু হওয়ায় সে মাটিতে পড়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে মরদেহটি খুমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট সৈকতের লাশ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৩০ জুন-২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post