মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল ) সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭ মে গনহত্যা দিবসে শহীদ দারনবীর রণদা প্রসাদ সাহা এবং তার পুত্র শহীদ ভবাণী প্রসাদ সাহা রবিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মুক্তির মঞ্চে পমোমবাতি প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে ৭ মে শহীদদের স্বরণ করা হয়। আজ শনিবার ( ৭ মে) কুমুদিনী কমপ্লেক্সের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের বি. পি পতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় নানা আয়োজনে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর শিক্ষা উপদেষ্টা সে দিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসার ডা. এম এ হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাখেন, শহীদ পরিবারের সন্তান সাহা প্রাণ গোপাল, ভারতেশ^রী হোমসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মি. অমলেন্দু সাহা, কুমুদিনী নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মি. নিরঞ্জন কুমার সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় ও প্রধান অতিথি কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর শিক্ষা উপদেষ্টা প্রতিভা মুৎসুদ্দি এবং কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি. এর নির্বাহী পরিচারক শ্রী রাজিব প্রসাদ সাহা।
এদিকে স্বরণ সভায় প্রতিভা মুৎসুদ্দি ও শ্রী রাজিব প্রসাদসহ বক্তারা বলেন, শহীদ দানবীর আরপি সাহা ও তার পুত্র ভবাণী প্রসাদ সাহা রবি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার পুত্র রবিকে ধরে নিয়ে যায়। মির্জাপুর তথা টাঙ্গাইলবাসির জন্য অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে যায়। আজও তাদরে কোন খোঁজ মিলেনি। তারা আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন। তাদের এই সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান যুগ যুগ টিকে থেকে মানব কল্যানে সেবা দিয়ে যাবে এটাই আজকের দিনে আমাদের অঙ্গিকার। এছাড়া মির্জাপুর সদরের আন্ধরা সাাহাপাড়া, কুতুববাজার, পুষ্টকামুরী, বাইমহাটি, সরিষাদাইর ও পালপাড়ায় ঢুকে অত্যাচার নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসয়যোগ এবং গনহত্যা চালায়। শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশু কিশোরকে হত্যা করে বংশাই ও লৌহজং নদীতে নিক্ষেপ করে। ১৯৭১ সালের ৭ই মে গনহত্যার নির্মমতার কথা ভুলতে পারেননি গোটা মির্জাপুর বাসী। সেদিন যারা ঘাতকদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মরনে শুধু মির্জাপুর গ্রামবাসি রনদা নাট মন্দিরে কীর্তন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া কুমুদিনী কমপ্লেক্সে প্রার্থনা সভা, কাঙ্গালী ভোজ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচীর আয়োজন করে আসছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post